• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

গাইবান্ধায় অপহরণের তিনদিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১  

গাইবান্ধা শহরের ফকিরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী উম্মে হাবিবা সিয়ামনিকে অপহরণের তিনদিন পর পলাশবাড়ী পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবলা মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা মোছা. মিনারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। সোমবার স্কুলছাত্রীকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তার জবাববন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে মায়ের জিম্মায় দেয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সিয়ামনি গাইবান্ধা স্বাধীনতা রজত জয়ন্তী বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়েটি বর্তমানে শহরের ফকিরপাড়া নিজ বাড়ি থেকে তার নানার বাড়ি ডেভিড কোম্পানী পাড়ায় যাতায়াত করতো। সেখানে যাতায়াত করার সময় আসামি পলাশবাড়ি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের মো. শাহানুর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান স্কুলছাত্রী সিয়ামনিকে প্রেম এবং পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

মেহেদী হাসানকে সহযোগিতা করতেন তার মামা বাবলা মিয়াসহ পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনমারী গ্রামের রনজু মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী বালুয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে আবির হোসেন এবং সিয়ামের মামা বুলবুল আহমেদ।

এজাহারে বলা হয়, সিয়ামনিকে প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারা গত ১৫ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে আসামিরা সিয়ামনিকে মাইক্রোযোগে অপহরণ করে। এ ঘটনার পর আসামি বাবলা মিয়ার বাড়িতে স্কুলছাত্রীর মা মিনারা বেগম লোকজন নিয়ে হাজির হয়ে মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা মেয়েকে মেহেদীর সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য জোর করে। মিনারা বেগম নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর ভগ্নিপতি ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরবর্তীতে মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় ১৭ এপ্রিল রাতে মিনারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন। এরপর তিনদিনেও অপহৃত সিয়ামনিকে পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম না হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে তার ভগ্নিপতি ও পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা থানার ওসি মাহফুজার রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ রোববার বিকেল ৪টায় পলাশবাড়ী পৌর এলাকায় আসামি মেহেদী হাসানের চাচার বাড়ি থেকে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদীর মামা আসামি বাবলা মিয়াকে আটক করা হয়।

ওসি বলেন, উদ্ধার স্কুলছাত্রীকে আদালতে হাজির করা হলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ভুক্তভোগী নাবালক হওয়ায় তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেয় আদালত। এছাড়া গ্রেফতার আসামি বাবলা মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –