• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেয়ে বাঁচবেন নাকি না খেয়েই– জেনে নিন বিভিন্ন ডায়েটের কথা

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৮  

রোগ প্রতিরোধ, হরমোনের মাত্রা নির্ধারণ এসব ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট ডায়েট প্লান গ্রহণ করা হয়।সুতরাং বলা যায়, ডায়েট হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে খাবার গ্রহণের পরিমাণটুকু স্থির করে ফেলা।

সব ডায়েট সবার জন্য একই রকম কার্যকর নয়। আপনার জন্য যে ডায়েট প্লান সুফল নিয়ে এসেছে তা আপনার বন্ধুর জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে।আবার পাঁচ বছর আগে যে ডায়েট অনুসরণ করে বাড়তি ওজনের লাগামটা টেনে ধরেছিলেন, তা এই এতদিন পর একই ফলাফল দেবে তা ভাবাটা একটু অবান্তরই বটে।যেকোন ডায়েট গ্রহণের সময় আপনার বয়স, মেটাবোলিজম, লাইফস্টাইল, আয়, ভৌগলিক অবস্থান এমনকি আপনার পরিবারের খাদ্যাভ্যাস সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক।

চলুন সংক্ষেপে পরিচিত হওয়া যাক বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নানান ডায়েট প্লানের সাথে-

১। এটকিন্স ডায়েটপুরনো, সহজ এবং জনপ্রিয় একটি লো-কার্ব ডায়েট এটি ।ষাটের দশকে ড. রবার্ট এটকিন্স এ ডায়েটের ধারণা নিয়ে আসেন।এ ডায়েটে দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বল্প কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেয়া হয়।অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে তখন শক্তি কম আর ফ্যাট বেশি জমতে থাকে।

এটকিন্স ডায়েট যারা গ্রহণ করবেন তাদের অবশ্য প্রোটিন এবং চর্বিজাতীয় খাবারে মানা নেই, নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে কেবল শর্করার ক্ষেত্রেই।

২। কেইভম্যান/প্যালিও ডায়েটপ্রস্তরযুগে আমাদের আদি সভ্যতার মানুষেরা যেরকম খাবার খেতেন ,সে ধরনের খাবার খেতে উৎসাহিত করে এ ডায়েট প্লান। ইংরেজিতে এসব খাবারের একটা গালভরা নামও আছে, ‘Hunter-gathered food’ । অর্থাৎ এমন সব খাবার যা হয় শিকার করে ধরে আনা যায় কিংবা সরাসরি ক্ষেত হতে জমা করে রাখা যায়। এ ডায়েটের সমর্থকদের মতে, আমাদের প্রাকৃতিক খাদ্য হতে প্যাকেটজাত খাদ্যের প্রতি ঝোঁক এবং নির্ভরশীলতা বৃদ্ধিই আজকের হৃদরোগ , স্থূলতা ,ডায়বেটিসের মত রোগগুলো বিস্তারের জন্য দায়ী।জাংক ফুডের শতভাগ বিরোধী এ ডায়েটপ্রথা।

আবার অনেকে এ ডায়েটের বিরোধিতাও করেন।তারা বলেন,আমরা এখন যেসব খাই, তার অধিকাংশই আমাদের পূর্বপুরুষদের আমলে ছিলনা। এ যুগে এসে তাদের মত জীবনযাপন যেমন অসম্ভব তেমনি তাদের খাদ্যাভ্যাস আঁকড়ে রাখার চেষ্টাও বোকামী ছাড়া কিছুই না।প্রক্রিয়াজাত মাংস ও শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য যেমন চীজ, পনির, সাদা চিনি, কলাই, পরিশোধিত তেল, সসেজ, এমনকি লবণ খাওয়াও তাহলে বিসর্জন দিতে হবে।

৩। ড্যাশ ডায়েটন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, এই ডায়েট প্লানটি ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকারিতার দিক থেকে ৫ এর ভেতরে ৩.৩ এবং স্বাস্থ্যগত সুফলের মানদণ্ডে ৪.৫ স্কোর অর্জন করেছে। পুষ্টিবিদদের কাছেও একটি পছন্দের নাম, ড্যাশ ডায়েট।

DASH অর্থাৎ Dietary Approaches to Stop Hypertension। নামেই স্পষ্ট এ ডায়েটের মূল বিবেচ্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ। তার পাশাপাশি কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, হার্ট এটাক এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। তাই বলে এই ডায়েটে ক্যালরি মেপে মেপে খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, দৈনন্দিন সব কিছুই খাওয়া যাবে কিছু নিয়ম মেনে।

অতিরিক্ত লবন খাওয়া যাবেনা, দিনে সব মিলিয়ে ২-৩ চা চামচ।প্রতিদিন ৬৭ আউন্স তরল পান করতে হবে- পানি, চা/কফি,ফলের রস যেকোন কিছু হতে পারে। চার কাপের বেশি গ্রিন টি না খাওয়া শ্রেয়।দিনে ছোট ছোট ভাগে অন্তত পাঁচবার খেতে হবে। মিষ্টি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, পুরোপুরি ত্যাগ করতে পারলেও সপ্তাহে ৫ বারের বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণ করা যাবে না। ছাড়তে হবে সোডা, এলকোহল আর সিগারেট খাওয়ার বদভ্যাস।

৪। কিটোজেনিক ডায়েটসংক্ষেপে এ ডায়েটের একটা আদুরে নাম আছে, ‘কিটো ডায়েট’। অনেক তারকা এ ডায়েটের বর্তমান অনুসারী। ১৯২০ সাল এবং তার কাছাকাছি সময়ে এ ডায়েট প্রক্রিয়াটা শিশুদের মৃগীরোগের চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হত।একেবারে সীমিত কার্বহাইড্রেট এবং উচ্চ মাত্রার চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ এ ডায়েটের প্রধান বৈশিষ্ট্য।দিনে মাত্র ৫% পর্যন্ত শর্করা গ্রহণে এ ডায়েট অনুমতি দেয়।

শুনতে অবাক লাগছে না? কিন্ত অদ্ভুত এ ডায়েটের এটাই নিয়ম।আমাদের শরীর দুধরনের উৎস হতে জ্বালানী উৎপন্ন করে ।একটা হলো শর্করা হতে উৎপন্ন চিনি আর অন্যটি হলো চর্বি। এ ডায়েটে খাদ্য হতে গৃহীত চর্বিগুলো দেহে জমে থাকে না বরং জ্বালানীতে পরিণত হয়ে দেহকে সচল রাখে।শরীরে যখন চিনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়,সে সময় যকৃতে চর্বিগুলো শক্তির অণু হিসেবে জমা হতে থাকে,যাকে কিটোন বলে।

আস্তে আস্তে দেহ এবং মস্তিষ্ক মিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চর্বি কমাতে শুরু করে।এমনকি ঘুমের ভেতরেও চলতে থাকে এই প্রক্রিয়া।সুতরাং এক সময় বৈজ্ঞানিক উপায়েই বাড়তি ওজন ঝরে পড়ে।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে ভাত,আলু,নুডলস,পাস্তা একেবারে বাদ দিয়ে অলিভ অয়েল,মাখন ইত্যাদিতে মাখানো সালাদ,শাকসবজি দিয়ে রিপ্লেস করতে হবে।যতবার খিদে লাগবে ততবারই খাওয়া যাবে আর সেটা চলতে পারবে যতক্ষণ পর্যন্ত খিদে পুরোপুরি মিটে না যাচ্ছে। কোন ওষুধ,সাপ্লিমেন্ট বা ক্যালরি মেপে মেপে খাওয়ার কোনই দরকার নেই এখানে। সত্যিই অদ্ভুত এই ডায়েটটা। শুধু মনে রাখবেন খাবারে যেন কোন চিনি বা অতিরিক্ত শর্করা না থাকে।

অনেক মানুষ যেমন এ ডায়েট দ্বারা উপকৃত হচ্ছে,তেমনি এক বিশাল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এ ডায়েট কোন কাজেই আসেনি। যাদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস আছে,তাদের জন্য এ ডায়েট ঝুঁকিপূর্ণ।

৫। ভেগান ডায়েটএটা যতটা না ডায়েট ,তার চেয়েও অধিক জীবন ব্যবস্থা,একটা দর্শন আর একটা মূল্যবোধ।স্বাস্থ্যগত দিক নয়, বরং পরিবেশগত ,নৈতিক এবং প্রাণিদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব থেকেই বেশির ভাগ ভেগান এমন খাদ্যব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।প্রাণিজ কোন কিছুই ভেগানরা গ্রহণ করেন না,এমনকি দুধ ,ডিম এবং মধুও নয়।

বছরের পর বছর গবেষণায় প্রমাণিত যে, যারা শুধুই নিরামিষ আহার করে থাকে, তাদের ওজনের আধিক্য নেই,রোগে ভোগার প্রবণতা কম, এবং তাদের আয়ুও বেশি অন্যদের তুলনায়।

তবে উদ্ভিজ্জ খাবারের ভিড়ে যেন ভেগানদের কোনরূপ পুষ্টিহীনতায় ভুগতে না হয় সেদিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। যেহেতু তারা কোন প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, তাই ভিটামিন আর মিনারেলের অভাব যেন না হয় সেজন্য আলাদা করে চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন এ ও ডি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম,আয়রন, জিংক, ওমেগা-৬, ওমেগা-৩ ইত্যাদির সাপ্লিমেন্ট নেয়া উচিত। প্রোটিনের অভাব পূরণে শিমজাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন ডাল, বীজ ইত্যদি প্রতিদিন খেতে হবে। ইউটিউবে ভেগানদের উপযোগী নানা রেসিপির ভিডিও পাওয়া যায়।আছে এ নিয়ে রান্নার বইও। অনলাইনে দেখে নিতে পারেন সেসব সহজেই।

৬। ৫:২ ডায়েটসাম্প্রতিক সময়ের একটি আলোচিত ডায়েট প্লান যা দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম। এই ডায়েট অনুসরণকারী সপ্তাহের ৫দিন স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করে আর ২ দিন করে উপোস! তাই বলে একেবারে অন্ন-জল স্পর্শ না করে থাকা নয়। এ দুইদিন নারীদের জন্য ৫০০ ক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ৬০০ ক্যালরি অব্দি খাবার গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

তবে সাবধান, অনাহারে থাকার দিনগুলোতে মাথাব্যথা,বিরক্তি আর অবসাদ পেয়ে বসতে পারে যে কাউকে।তাছাড়া গরমের সময় এই ডায়েট অনুযায়ী চলতে গেলে পানিশূন্যতায় ভোগাও অস্বাভাবিক নয়। অন্তঃসত্ত্বা এবং যারা ইনসুলিন নেন নিয়মিত তাদের জন্য এটি বলা যায় নিষিদ্ধ এক ডায়েট।

৭। হরমোন ব্যালেন্সিং ডায়েটপ্রাথমিকভাবে এ ডায়েটের উদ্দেশ্য হলো খাবারের মাধ্যমে নারীদের হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখা। থাইরয়েড, এড্রেনাল, ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন প্রভৃতি হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি এ ডায়েট হজম প্রক্রিয়াকে সুগম করে , রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে ,যকৃত পরিশোধনে সাহায্য করে,এমনকি আবেগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

দেহে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা পেটের মেদ, বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, চামড়ায় ঝুল, বলিরেখা, অনিদ্রা ,চুল পড়া, অবসাদ, জরায়ুতে সিস্ট এমনকি স্তন ক্যান্সারের কারণও হতে পারে। শতকরা ৮৫জন মহিলাই তাদের জীবনের কখনো না কখনো হরমোন জনিত সমস্যায় ভুগেন। পরিপূর্ণ পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাস এর অনেকটাই প্রশমন করতে পারে।

দারুন ব্যাপার হলো, হরমোন ব্যালেন্স এর সাথে সম্পৃক্ত খাবারের রেসিপি নিয়ে একটা আস্ত ওয়েবসাইটই আছে।এর প্রতিষ্ঠাতা Magdalena Wszelaki দীর্ঘদিন নারীদের পুষ্টিচাহিদা নিয়ে কাজ করেছেন। দেখে আসতে পারেন এই ঠিকানায়- www.hormonesbalance.com.

৮। সাউথ বীচ ডায়েট প্লানহৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. আর্থার অগাস্টান এবং পুষ্টিবিদ মেরি এলমান প্রাথমিকভাবে হৃদরোগীদের কথা ভেবে এই ডায়েট প্লান তৈরী করেন।এটকিন্স ডায়েটে যেখানে শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়,উল্টোভাবে এ ডায়েটে আবার কম চর্বি গ্রহণের নিয়ম।

ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দেহে যেসব অশোধিত শর্করা রয়েছে সেগুলোকে দ্রুতই কর্মোপযোগী শর্করায় পরিণত করে এ ডায়েট প্রক্রিয়া। এ ডায়েটে তিনটি কঠিন পর্যায়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয় যেখানে প্রথম পর্যায়েই দুই সপ্তাহে একেবারে ১৩ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমিয়ে ফেলা যায়।তবে অনেকে এই পর্যায়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাই পরের দুটো পর্যায় আর পূরণ করতে পারেন না।

৯। ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েটনির্দিষ্ট অঞ্চলের খাবার ও মানুষের জীবনযাত্রাকেন্দ্রিক ডায়েট প্লান এটি।দক্ষিণ ইউরোপের পাশাপাশি স্পেন, ফ্রান্স এবং পর্তুগালের লোকজন এ ডায়েট প্লান অনুসরণ করে থাকে।সেখানে এ সময়ের খুব আধুনিক এবং জনপ্রিয় ডায়েট এটি।ডায়েট নয় বরং একে একটা আলাদা লাইফস্টাইলই দাবি করে থাকেন অনেকে।

উদ্ভিজ্জ খাদ্য, তাজা ফল, শিম জাতীয় খাদ্য,বাদাম, শস্য, বীজ এবং অলিভ অয়েল থেকে মূলত শর্করা এবং চর্বিজাতীয় খাদ্যের এবং চীজ আর টকদই এ ডায়েটে দুগ্ধজাত খাবারের চাহিদা পূরণ করে। সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪টা ডিম, স্বল্প পরিমাণে লাল মাংস, আর পরিমিত মাত্রায় ওয়াইন গ্রহণের অনুমতি আছে এ ডায়েটে।

১০। মিলিটারি ডায়েটসপ্তাহে মাত্র ৩দিন এ ডায়েট অনুযায়ী চললেই ১০ পাউণ্ড এর মত ওজন কমানো সম্ভব।তার উপর ডায়েটের দিনগুলোতে খেতে পারবেন হটডগ আর আইসক্রিমের মত হাই ক্যালরি খাবার! ভাবা যায়! তবে সেই ৩দিন একদম মিলিটারি –আর্মিদের মত কঠোরভাবে ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে; পরিকল্পনা থেকে নড়া যাবে না একচুলও। বাকি চারদিন খেতে পারবেন নিজের ইচ্ছেমত। আসুন চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক কি কি খাওয়ার অনুমতি থাকছে সে ৩দিনে, তালিকাটা যে আপনাকে চমকে দেবে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই!

 

সকাল

দুপুর

রাত

১ম দিন

চা/ কফি,পিনাট বাটার,এক স্লাইস টোস্ট,অর্ধেক জাম্বুরা

চা/কফি,এক স্লাইস টোস্ট, আধা কাপ টুনা

৮৫গ্রাম মাংস(সেদ্ধ/স্টিমড),এক কাপ শিম, অর্ধেক কলা, একটা আপেল,এক কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম

২য় দিন

টোস্ট এক স্লাইস,অর্ধেকটা সেদ্ধ ডিম,অর্ধেক কলা

একটা সেদ্ধ ডিম,৫ স্লাইস নোনতা বিস্কুট,এক কাপ পনির

২টা হটডগ(বার্গার বান ও সস ছাড়া),আধা কাপ গাজর,এক কাপ ব্রকলি,অর্ধেক কলা,আধা কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম

৩য় দিন

৫ স্লাইস নোনতা বিস্কুট,এক স্লাইস চীজ,একটা আপেল

এক স্লাইস টোস্ট ও একটা ডিম

এক কাপ টুনা,অর্ধেক কলা,এক কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম

১১। ব্লাড টাইপ ডায়েটরক্তের গ্রুপ এখানে খাবার নির্ধারণ করে দেয়। রক্তের গ্রুপ যেমনই হোক, প্রতিটি মানুষেরই স্বাস্থ্যকর, প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করাটা কর্তব্য। এই ডায়েট প্ল্যান অনুযায়ী ‘ও’ গ্রুপের যারা তারা শস্য, শিমজাতীয় খাবার আর দুগ্ধজাত খাবার বুঝেশুনে খাবে। যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তারা খাবে না মাংস আর উচ্চমাত্রার প্রোটিন। আবার ‘বি’ যাদের গ্রুপ তারা ভুট্টা, গম, যব, মসুর ডাল, টমেটো, তিলবীজ, পীনাট আর মুরগির মাংস থেকে দূরে থাকবে। অন্যদিকে টাইপ “এ বি” এর যারা তাদের ক্যাফেইন, এলকোহল আর স্মোকড মাছ- মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভাল।

ব্লাড টাইপ ডায়েট বেশি জনপ্রিয় দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায়। বাড়িতে এ ডায়েট প্লান অনুসরণ করতে গেলে অবশ্য ধন্দে পড়ে যেতে হবে। পরিবারের সবার রক্তের গ্রুপ যেহেতু এক নয় তাই যে বাড়িতে লোকসংখ্যা বেশি সেখানে এ ডায়েট পরিচালনা করা একটু কঠিনই হবে।

১২। রোজমেরী কনলি ডায়েটএকজন জনপ্রিয় লেখকের নামে এই ডায়েটের নামকরণ করা হয়েছে।পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়ার পর তাকে একটি বিশেষ লো-ফ্যাট ডায়েট প্লানের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এ ডায়েট তাঁর রোগ সারাতে এত ভাল কাজ করে যে, তাকে কোন সার্জারির ভেতর দিয়েও যেতে হয়নি।এখন একটা অনলাইন প্রগ্রাম জড়িত এই ডায়েটের সাথে যেখানে ফিটনেস ভিডিও,খাবারের রেসিপি,রোগের অবস্থা ইত্যাদি সরাসরি মনিটরিং করার সুবিধা রয়েছে।এ ডায়েট প্লানের মাধ্যমে সাত সপ্তাহে ১৪ পাউন্ড সমমানের পাথর কমানো সম্ভব।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –