কেমন দেখতে পবিত্র কাবা শরীফের ভেতর?

ইসলামিক সোসাইটি, উত্তর আমেরিকার (আইএসএনএ) প্রেসিডেন্ট ডা. মুজ্জামিল সিদ্দিকি। সৌভাগ্যক্রমে তিনি ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে পবিত্র কাবা শরীফ ঘরখানার ভেতরে যাওয়ার সুযোগ পান। পরে তিনি এক সাক্ষাৎকারে কাবাঘরের ভেতরের বর্ণনায় যা বলেন, তার কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো-

কাবা ঘরের ভেতরে কোনো ইলেকট্রিক লাইট নেই। মেঝে ও ওয়াল মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত। কোনো জানালা নেই। কাবা ঘরের ১টি মাত্র দরজা। কাবা ঘরের ছাদে ১২৭ সে.মি. লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবা ঘরের ভেতর পরিষ্কার করা হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়। কাবা শরীফের দুটি সিলিং রয়েছে। এর ভেতরের দেয়ালগুলো সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলো প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.।

পবিত্র কাবা শরীফ পরিষ্কার করার জন্যে এর দরজা বছরে দুইবার খোলা হয়। রমজানের ১৫ দিন আগে এবং হজ এর ১৫ দিন আগে। পরিষ্কারের পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলো পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়। কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরণটি (কিশওয়া) প্রতি বছর ৯ জিলহজ পরিবর্তন করা হয়।

কাবা শরীফের দরজার চাবি বনী সায়বা নামক এক গোত্রের কাছে থাকে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) চাবিটি এ গোত্রের কাছে দিয়েছিলেন, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তাদের কাছেই থাকবে। তারা কাবা শরীফ পরিষ্কার করার কাজের জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, কুটনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অভিবাদন জানান।

মক্কা শহরের গভর্নর তাদের কাবা শরীফের ভেতরে নিয়ে যান। তারা জমজম কূপের পানি ও গোলাপ জল দিয়ে কাবা শরীফের ভেতর পরিষ্কার করেন।