• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

কৃষিকে আকর্ষণীয় পেশায় পরিণত করছে `রাইস ট্রান্সপ্লান্টার`

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২১  

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার করনাইট দীঘিয়া গ্রামে ১৪ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ও আব্দুর রহিম। চারা রোপণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাণীশংকৈল কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কয়েক শতাধিক কৃষক-কৃষাণী ও সাংবাদিক।

প্রান্তিক কৃষকদের লাভবান করে তুলতে এবং সরকারের এই মহতী উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিভিন্ন কৃষি প্রদর্শনের মাধ্যমে। তারই অংশ হিসেবে ২০২০-২০২১ রবি মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমতল (Synchronization) চাষাবাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাইব্রিড বোরো ধানের চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের দ্বারা চারা রোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের লাভবান করে তুলতে এ প্রদর্শনীর কার্যক্রম বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ প্রদর্শনীতে প্রণোদনা হিসেবে ১২ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে যা ধান রোপণ থেকে ধান কাটা পর্যন্ত।

এ সময় বক্তারা বলেন, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি, সময় মতো কৃষি কাজ সম্পাদন, পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানোর অপচয় রোধ, শ্রমিকদের কায়িকশ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি কৃষিতে আধুনিক ও আকর্ষণীয় পেশায় পরিণত করার জন্য কৃষিতে লাগসই যান্ত্রিকায়ন ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করায় এ প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।

কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, ইতিমধ্যে এ প্রদর্শনীতে মোট বরাদ্দের একর প্রতি কৃষকের জমিতে ১০০ কেজি ইউরিয়া, ৪৫ ডেপ, ৫০ কেজি পটাশ ৪৫ কেজি জিপসাম ও ৪ কেজি দস্তা সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকরা লাভবান হবেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –