• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কালীগঞ্জে সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায়

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০  

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় ও কোরবানী দিয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট ও একই ইউনিয়নের বোতলা এলাকায় এই ঈদ উল-আযহার নামাজ আদায় করার পর পশু কোরবানী করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় ঈদের নামজ আদায় করে আসছে কিছু লোকজন। এবার সুন্দ্রাহবিতে প্রায় ১৪০ জন, পানি খাওয়ার  ঘাটে প্রায় ১৩০ জন ও বোতলা এলাকায় প্রায় ৫০/৬০ জন মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পছন্দের পশু কোরবানি করেছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজ উদ্দিন ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বোতলা এলাকার আহলে হাদীসের অনুসারী লোকজন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকে। তাদের যুক্তি হলো- শুক্রবার ও প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় যদি ঠিক ঠিক সময়ে হতে পারে বাংলাদেশে। তাহলে রোজা, ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার নামাজ এবং কোরবানী কেন এক সাথে করা যাবে না। তবে অনেক আগে থেকে তিনি এই রেওয়াজ চালু আছে বলে জানান।

চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা এলাকার মুসুল্লি হাসেন আলী(৩৬) ও মোঃ আবুল হোসেন(৩২) বলেন, ‘আমরা লতাবর আহলে হাদীস জামে মসজিদে ঈদ-উল-আযহার নামাজ সকালে আদায় করেছি এবং কোরবানী দিয়েছি। বিগত ২০১২ অথবা ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছি। কেন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় আচার পালন করা হচ্ছে, তা আমি ভালো বলতে পারবো না।’

পানি খাওয়ার ঘাট এলাকার বাসিন্দা ও উত্তর বালাপাড়া পানি খাওয়ার ঘাট আহলে হাদীস জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ সুরুজ্জামান (৫০) বলেন, ‘গত ৬/৭ বছর থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ ও রোজা সহ ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছি। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্ম পালনের জন্য আহলে হাদীসের মাওলানারা আমাদের বুঝিয়েছে। তাই তখন থেকে আমরা আহলে হাদীসের সমর্থকরা
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, কোরবানী ঈদের নামাজ পড়ে আসছি। আমরা বেশি কিছু জানি না।’

জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সুন্দ্রাহবি, বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় কিছু মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় ও পছন্দের পশু কোরবানী করেছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে এসব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। বিষয়টি নজরদারি করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –