• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কাঁকরোল কেন খাবেন জেনে রাখুন

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

কাঁকরোল দেখতে ছোট কাঁঠালের মতো সবুজ রঙের হয়ে থাকে।

এ কাঁকরোল আমরা তরকারি করে খাই, কাঁকরোল ভাজা খাই, কাঁকরোল সেদ্ধ ও ভর্তা করেও খেয়ে থাকি। বিশেষ করে যারা নিরামিষ খান তাদের কাছে কাঁকরোল খুবই প্রিয় খাবার।

কাঁকরোল কেন খাবেন? কাঁকরোল খেলে শরীরে কী কী উপকার হয়ে থাকে? সে সম্পর্কে জেনে নিন-

কাঁকরোলের পুষ্টিগুণ:

কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস, কার্বো হাইড্রেড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদিসহ নানা রকমের স্বাস্থ্যগত উপাদান।

কাঁকরোলের উপকারিতা:

ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগকেও দূরে সরিয়ে রাখতে পারে কাঁকরোল। একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, কাঁকরোলের পুষ্টি উপাদানসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ক্যান্সার কোষের সংখ্যা ধীরগতি করতে সাহায্য করে। কাঁকরোলে বিশেষ এক ধরণের প্রোটিন থাকে যা ক্যান্সার কোষ প্রতিহত করে। এ জন্য কাঁকরোলকে স্বর্গীয় ফল বলা হয়ে থাকে।

অ্যানিমিয়া রোগের ক্ষেত্রেও কাঁকরোল খুবই উপকারি। কারণ কাঁকরোলে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ, ফলিক এসিড ও ভিটামিন সি রয়েছে। যেগুলো অ্যানিমিয়া প্রতিহত করতে পারে। যদি আপনি প্রতিদিন কাঁকরোল খেতে পারেন তবে অ্যানিমিয়া হওয়ার কোনো আসংঙ্কা থাকবে না।

কোলেস্ট্ররল নিয়ন্ত্রণেও কাঁকরোল বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। যাদের শরীরে কোলেস্ট্ররেলের মাত্রা বেশি থাকে তারা নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন। এটি কার্ডিও ভাস্কুলাই ডিজিসও প্রতিহত করতে পারে। কারণ কাঁকরোলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। হার্টকে ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই কাঁকরোল খেতে হবে। কারণ কাঁকরোল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রেখে সুস্থ জীবন যাপনে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পারে কাঁকরোল। কারণ এতে ভিটামিন, বিটা ক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে। যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কাঁকরোল। মনের বিষন্নতা দূর করতেও কাঁকরোল খেতে পারেন। কাঁকরোলে ছেলেনিয়াম, মিনারেল ও ভিটামিন থাকে, যেটা নার্ভাস সিস্টেমের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আপনি যদি তারুন্যকে ধরে রাখতে চান তাহলে কাঁকরোল খেতে হবে। কোষের কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রবণতাকে ধীরগতি করতে সাহায্য করে কাঁকরোল। কোলাজেনের গঠন পূন র্নিমানের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও সাহায্য করে কাকরোল।

কাঁকরোল হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিতে পারে। একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, যাদের শরীরে লাইকোপিনের মাত্রা বেশি তাদের থেকে যাদের শরীরে এর মাত্রা কম থাকে, তাদের শতকরা ৫০ ভাগ বেশি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। কাঁকরোল খুব সহজেই এ সমস্যা সম্ভাবনা দূর করতে পারে। কারণ এটি শরীরের লাইকোপেনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।

কাঁকরোল মেদ বা ওজন কমাতে পারে। কমলা লেবুর থেকেও শতকরা ৪০ ভাগ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে কাঁকরোলে। ভিটামিন সি শরীরের অতিরিক্ত মেদ পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। রক্তে ভিটামিন সি এর পরিমাণ কম থাকলে ফ্যাট বানিং কম হয়। তাই ওজন কমানো যায় না। যাদের রক্তে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে তাদের শরীরে ফ্যাট বানিং বেশি হয়। তাই তারা সহজে খুব বেশি মোটা হয় না। তাই মেদ কমাতে চাইলে অবশ্যই কাঁকরোল খেতেই হবে।

গর্ভাবস্তায় অনেক মায়েদের স্নায়ুবিক ত্রুটি দেখা দেয়। কাঁকরোলে রয়েছে ভিটামিন বি ও সি যা স্নায়ুবিক ত্রুটি বাঁধা দিতে সাহায্য করে। শুধু কাঁকরোল নয়, এর শেকড়ের রসও আদার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে।

কিডনির পাথর নির্মূলেও কাঁকরোল খুবই উপকারি। এ জন্য দুধের সঙ্গে কাঁকরোল বাটা খেতে হবে। কাঁকরোল উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে সাহায্য করে। খুসখুসে কাশি নিরাময়েও কাঁকরোল খুবই উপকারি। এ জন্য কাঁকরোল বাটা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।

কাঁকরোলে থাকে বিটা ক্যারোটিন যা শরীরের জন্য ও খুবই উপকারি। কাঁকরোল ত্বককে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। কাঁকরোলের জুস খেলে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –