• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

করোনায় অমানবিক মেস মালিকরা: বিপাকে বেরোবির শিক্ষার্থীরা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২০  

সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস এর কারণে চলমান ছুটিতে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া পরিশোধ করার জন্য নোটিশ দিয়েছে রংপুর আশরতপুর মেস মালিক সমিতি। টাকা ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী মেসে প্রবেশও করতে পারছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

মেস মালিক সমিতি তাদের নোটিশে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার কর্তৃক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় করোনাভাইরাসরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা এবং জনসমাগম এড়াতে লকডাউনের মাধ্যমে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন মেসগুলোর সকল ছাত্রছাত্রী গত মার্চ থেকে অদ্যাবধি বাসায় অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় মেস মালিকদের তিন মাসের সিট ভাড়া অনাদায়ে ব্যাংকলোন, সিটি কর, হোল্ডিং ট্যাক্স, আয়কর, পানি ও বিদ্যুৎ বিল, জমির খাজনা সহ নাইট গার্ডদের বেতন প্রদানসহ চুক্তিভিত্তিক পরিচালিত মেস ব্যবসায়ীদের অন্য কোনো উপার্জন ক্ষেত্র না থাকায় বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আর্থিক সংকটে উপনীত হয়েছেন। উপরি-উক্ত বিষয় বিবেচনা করে রংপুর আশরতপুর মেস মালিক সমিতির কার্যপরিষদের আলোচনাসভায় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে সমুদয় বকেয়া ভাড়া উত্তোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

এদিকে মেসের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করার কারণে টাকা ছাড়া মেসে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।তারা জানান, কোনো কোনো মেস মালিক নিজে থেকেই পুরো অথবা কিছু টাকা ছাড় দিচ্ছে আর কোনো কোনো মেস মালিক শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করছে। বিশেষ করে মেয়েদের মেসে। এসব মেস মালিক এপ্রিল, মে, জুন মাসে ভাড়া পরিশোধ ব্যতীত কোনো কারণেই মেসে ঢুকতে দিচ্ছে না। টাকা পরিশোধ ছাড়া মেসে বই আনতে গেলেও গেট পর্যন্ত খুলে দিচ্ছে না। অনেকের মাটির ব্যাংকে জমানো টাকাও রুমে ঠুকে নিয়ে স্বীকার করছেনা মেস মালিকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সালামের মোড়স্থ জানিভা মেসের পরিচালিকা সাবানা বলেন, আমরা তো মেস মালিক বা অন্যের মেসে চাকরি করি। ভাড়ার বিষয়ে মেস মালিক সমিতি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা মানব। 

মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রংপুর জেলা প্রশাসক আমাদেরকে ডেকেছিলেন কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেছেন, আমি আপনাদের (মেস মালিকদের) কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাব। সেখান থেকে যেটা সিদ্ধান্ত হয় সেটা আপনাদেরকে মানতে হবে। আমরা বলেছি, সারা বাংলাদেশ যেটা মানবে আমরাও সেটা মানব।

তবে জিনিস নেওয়া বা মেসে প্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ছোটখাটো জিনিস বা বইপত্র নেওয়ার ব্যাপারে কোনো বাধা নাই। সেটা নিতে পারবে। তবে একেবারেই সবকিছু নিয়ে গেলে মালিকেরা কিভাবে টাকা তুলবে? মালিকদের বলে দেওয়া আছে এই সময়ে কেউ যেন টাকার চাপ না দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. নুর আলম সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভিসি স্যার নিজেও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মেস মালিকদের ভাড়ার টাকা মওকুফের বিষয়ে অনুরোধ করেছিলেন। আমিও সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা পরিস্থিতি অবজার্ভ করছি। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই কথা বলতেছি আরো কথা বলব। এ জন্য আমরাও বসে নেই তবে যত দ্রুত কিছু করা যায় শিক্ষার্থীদের জন্য করব। এ বিষয়ে পরে জানাব। 

তবে এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। অপরদিকে,  রংপুর জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –