• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

‘ওজনে’ আসছে পরিবর্তন!

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

ওজনের একক কিলোগ্রামের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনেছে ইন্টার্নেশনাল ব্যুরো অফ ওয়েট এন্ড মেজারস বা বিআইপিএম। ১৩০ বছর পর কিলোগ্রামের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে সংস্থাটি বলছে, এর মাধ্যমে ওজন পরিমাপ আরো বেশি বৈজ্ঞানিক এবং নির্ভুল করা হলো। নতুন এই হিসেব কার্যকর হবে ২০১৯ সালের ২০ মে থেকে।

দোকান বা বাজারে পণ্য কেনাবেচা থেকে শুরু করে কারখানায় উৎপাদন সবকিছুই হয় ওজন মেপে। ওজন মাপায় কিলোগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত একটি মানদণ্ড। এই কিলোগ্রামের মান সারা বিশ্বে একই রকম এবং একই ধারণার।

 

1.‘ওজনে’ আসছে পরিবর্তন!

কিলোগ্রামের প্রথম প্রচলন হয় ১৮৮৯ সালে। যা প্লাটিনাম এবং ইরিডিয়াম ধাতুর সমন্বয়ে তৈরি এক ধাতব টুকরো। পিকে নামের এই টুকরোকে রাখা হয় বিআইপিএম-এর সদর দপ্তরে। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাখা কিলোগ্রাম পিকে সময়ের পরিক্রমায় ওজন হারানোয় একে নির্ভুল করার প্রসঙ্গ আসে প্রায় ৩০বছর আগে। অবশেষে এটিকে অনুমোদন দেয়া হয় গত ১৬ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিআইপিএম-এর এক সম্মেলনে।

বিআইপিএম-এর পরিচালক মার্টিন মিল্টন বলেন, ৩০ বছর দীর্ঘ সময়ে কঠিন পরিশ্রম এবং ৬০ জন বিজ্ঞানীর বিভিন্ন গবেষণাগারে নিরলস গবেষণার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কিলোগ্রামের নতুন সংজ্ঞা দিতে বিজ্ঞানীরা দ্বারস্থ হয়েছেন কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার প্লান্ট কন্সটেন্টে। ওজন পরিমাপের সবচেয়ে নির্ভুল মেশিন কিবল ব্যালেন্সেরও সহায়তা নিয়েছে বিজ্ঞানীরা। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স ব্যবহার করে একটি বস্তুর ভর বের করা হয় কনস্ট্যান্ট এককে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় ভৌত বিজ্ঞান ল্যাবরেটরির গবেষক পেড্রো উইলিয়াম বলেন, এটি সত্যিই একটি চমকপ্রদ ব্যাপার এবং আমাদের মতো গবেষকদের জন্য একটি বড় মুহূর্ত। এটি নতুন অনেক কাজের ব্যাপারে খুবই সহায়ক এবং সময়োপযোগী হবে।

মেইড টু মেজারস সেভেন ওয়ার্ল্ড ইউনিট-এর কিউরেটর ব্রুনো জ্যাকি বলেন, দৈনন্দিন জীবনে এটি তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। ধরুন আপনি বাজারে আলু বা টমেটো কিনতে গিয়েছেন, সেখানে আপনি এটির পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন না। এটির পার্থক্য তখনই লক্ষ্য করা যাবে যখন অতি ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হবে।

 

2.‘ওজনে’ আসছে পরিবর্তন!

প্রতিদিনের নিয়মিত কেনাবেচা বা বড় কোনো হিসেবে এটি তেমন কোনো পরিবর্তন না আনলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিবে। যেমনটা খুলেছিলো ১৯৬৭ সালের মিটার পদ্ধতির সংস্করণ বা মান পরিবর্তনের মাধ্যমে জিপিএস ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির উদ্ভাবনে।

ব্রুনো জ্যাক আরো বলেন, এটা অনুমান করা কঠিন যে নতুন এই হিসেব পদ্ধতি কি ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তবে এটা বলতে পারি আলোর গতিতে যখন মিটারকে পরিমাপ করা হলো তারপরই জিপিএস পদ্ধতির সূচনা হয়। যা তার কিছুদিন আগেও চিন্তা করা কঠিন ছিলো। ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটতে পারে কিলোগ্রামের এই নতুন হিসেবের ক্ষেত্রে।

অন্যান্য গবেষকরা বলছেন, এই ক্ষুদ্র হিসেবের প্রভাব পড়বে ওষুধ শিল্প থেকে শুরু করে উড়োজাহাজ কিংবা মহাকাশযান তৈরিতে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –