• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

একত্ববাদের শিক্ষাই স্বাধীনতার উৎস

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

একত্ববাদ, যাকে আমরা আরবিতে বলি তাওহীদ। একত্ববাদের হাকীকত হলো, তার অনুসারীকে জাগতিক শক্তির ব্যাপারে নির্ভীক করে তোলা; সৃষ্টির গোলামী থেকে মুক্ত করে এক আল্লাহর দিকে নিয়ে আসা।

এ জন্যে দেখা যায়, একজন মানুষ তাওহীদের অবিশ্বাসী হলে, জাগতিক অতি সামান্য শক্তির ভয়ে কম্পমান থাকে। কিন্তু ওই মানুষই যখন তাওহীদের বিশ্বাসী হয়ে যায়, তখন সে মহা প্রতাপশালী কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সামনে মাথা নত করে না। সত্য ও ন্যায়ের ব্যাপারে থাকে নির্ভীক, আপোষহীন।

তাই ইসলামী বুদ্ধিজীবীগণের বিশ্লেষণ হলো, ইসলামের এই বিশ্বাসই স্বাধীনতার উৎস। প্রখ্যাত দার্শনিক আলেম মরহুম আবুল কালাম আজাদ ‘ইসলামে স্বাধীনতার ধারণা’ প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘মানুষের মান-মর্যাদা, জ্ঞান-গরিমা, মাহাত্ম্য-শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্যের আসল ভিত্তি হলো তাওহীদ। তাওহীদের বিশ্বাসের ফলে, মানুষ অশেষ মহব্বত ও বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার সামনে মাথাকে নত করে। এর বিপরীত অবস্থা হয়ে থাকে সৃষ্টির সামনে। পাহাড়ের সামনেও মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। জাগতিক কোনো শক্তি, প্রতাপশালী কোনো বাদশা তাকে বশিভূত করতে পারে না। মুমিন এক চৌকাঠের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে, সবকিছু থেকে মুক্ত স্বাধীন হয়ে যায়।’ তিনি সূরা ইউসুফের এই আয়াত দ্বারা উক্ত বিষয়ে প্রমাণ পেশ করেন, ‘হে আমার কারা-সঙ্গীদ্বয়! ভিন্ন ভিন্ন বহু মাবুদ উত্তম, না একক পরাক্রমশালী আল্লাহ? তোমরা তাঁকে ছেড়ে কতগুলো নামের উপাসনা করছ, যে নাম তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখে নিয়েছ। আল্লাহ ওদের কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। হুকুম দেয়ার ক্ষমতা কেবল আল্লাহ তায়ালার। তিনি আদেশ করেছেন, ‘তোমরা তাঁর ইবাদত ছাড়া আর কারো ইবাদত করো না। এ-ই সরল পথ, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ (তা) জানে না।’ (হুররিয়্যাত ফীল ইসলাম, পৃষ্ঠা-১০) তাই ইসলামে স্বাধীনতার মানেই হলো, আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে মেনে নিয়ে, অন্যকিছুর অধীনতাকে অস্বীকার করা।

একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিস্কার হবে। হজরত আবেস ইবনে রাবিয়া বলেন, ‘হজরত ওমর (রা.) একদিন হজরে আসওয়াদের কাছে এসে বললেন, ‘আমি জানি তুমি একটা পাথর ছাড়া আর কিছু নও। আমি রাসূল (সা.)-কে দেখেছি তোমাকে চুমু দিতে, তাই আমি তোমাকে চুমু দিচ্ছি। অন্যথায় আমি কখনো তোমাকে চুমু দিতাম না।’ অর্থাৎ আমার উপকার বা ক্ষতি করার কোনো ক্ষমতা তোমার নেই। এগুলোর মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাই ইজ্জত আর সম্মানের উপযুক্ত তিনি। দাসত্ব আর গোলামি হবে তাঁর জন্য।’ অথচ তারাই এক সময় এগুলোর অনিষ্টতার ভয়ে সদা কম্পমান থাকত।

হজরত রিবয়ী ইবনে আমের (রা.) এর কন্ঠ থেকে শুনেছি, মানুষের মুক্তির জন্য ইসলামের আবির্ভাব। তাঁর কথাটা ছিলো এ রকম যে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাঠিয়েছেন, মানুষকে মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত করে আল্লাহর গোলামির দিকে নিয়ে আসার জন্য। (আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া)

স্বজাতির মুক্তির জন্য হজরত মূসা (আ.) এর সংগ্রাম:

হজরত মুসা (আ.)। সুপরিচিত একজন নবী। বনি ইসরাইল ছিলো তার বংশের নাম। অন্যদিকে ছিলো ফেরাউন। তার সম্প্রদায়ের নাম ছিলো কিবতি। ফেরাউন ছিলো মিশরের শাসনকর্তা। সে বনি ইসরাইলের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, তাদেরকে গোলামির শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছিলো। বনি ইসরাইলের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার পর, তাদের ওপর চলতো অকত্য নির্যাতন। আল-কোরআনে তা বিবৃত হয়েছে এভাবে, ‘আর (স্মরণ কর সেই সময়ের কথা), যখন আমি তোমাদেরকে ফেরাউনের লোকজন থেকে মুক্তি দিয়েছিলাম, যারা তোমাদের কঠিন শাস্তি দিত যে, তোমাদের পুত্রদের জবাই করত, আর তোমাদের নারীদের জীবিত রাখত।’ (সূরা বাকারা,৪৯)

তারপর বনি ইসরাইলের বংশদূত মূসা (আ.) আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নবুওয়াত লাভ করেন। আল্লাহ তায়ালা নবুওয়াত দিয়ে নিদের্শ দিলেন, ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতে। দ্বীনি দাওয়াতের পাশাপাশি, বনি ইসরাইলকে স্বাধীন করে দিতে ফেরাউনকে আহ্বান জানানোর নির্দেশও আল্লাহ তায়ালা দিয়েছিলেন।

আল কোরআনে বিষয়টি এসেছে এভাবে, ‘আর মূসা বললেন, হে ফেরাউন! আমি সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালকের রাসূল, আমার জন্য এ-ই করণীয় যে, আমি আল্লাহর প্রতি সত্য ছাড়া অন্য কিছু আরোপ করি না। নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট তোমাদের রবের নিদের্শ নিয়ে এসেছি। অতএব তুমি আমার সঙ্গে বনি ইসরাইলকে যেতে দাও!’ হজরত মুসার (আ.) এর এই আহ্বানে ফেরাউন কি সাড়া দিয়েছিলো? না, বরং মূসা (আ.) এর ওপর ফেরাউনের পরিবারের অবদানের দোহাই দিয়ে তাকে দাবী থেকে সরানোর চেষ্টা-তদবীর করতে লাগল। সাধারণত প্রতাপশালীরা দুর্বলদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য যা করে থাকে।

কিন্তু হজরত মূসা (আ.) যুক্তিসঙ্গত একটা উত্তর দিয়ে ফেরাউনকে দমিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, আমার একার ওপর অনুগ্রহের কারণে, আমার পুরো জাতিকে তো গোলাম বানিয়ে রাখতে পারো না। সর্বশেষ, হজরত মূসা (আ.) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে বনি ইসরাইলকে নিয়ে মিসর ছেড়ে চলে এলেন। এর দ্বারা প্রমাণীত হয়, মানবতার কল্যাণে, ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য সংগ্রাম-আন্দোলন করা ইসলামে শুধু বৈধই নয়, বরং মুসলমানের দায়িত্বও বটে।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের কী হলো যে, তোমরা যুদ্ধ কর না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য? যারা বলেন, ‘ হে আমাদের রব! আমাদের এই জনপদ থেকে বের করে নিয়ে যান, যার অধিবাসীরা অত্যাচারী।’ (সূরা-নিসা, ৭৫) তাই মুসলমানের নিজের স্বাধীনতার পাশাপাশি নির্যাতিত, নিপীড়িত প্রতিটি জনপদের মুক্তির জন্য পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য।

ইসলামে সামাজিক জীবনের স্বাধীনতা-

স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও গঠনমূলক সমালোচনা করার অধিকার:

স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও গঠনমূলক সমালোচনা করার অধিকার, যাকে আমরা এক কথায় ‘বাক-স্বাধীনতা’ বলি। তা ইসলামের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য । জনগণকে রাষ্ট্রিয় জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আল-কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ খারাপ কথা প্রকাশ পছন্দ করেন না। তবে মজলুম কর্তৃক জুলুমের প্রতিবাদ করাকে পছন্দ করেন।’ (সূরা-নিসা,১৪৮)

রাসূল (সা.) নিজেও তাঁর সমাজে যথাযথভাবে মানুষের এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সর্বাবস্থায় সত্যকথা অকপটে বলার জন্য উৎসাহ দান করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর একটি হাদীস খুব গুরুত্বপূর্ণ- ‘অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সর্বোত্তম জিহাদ।’ (আবু দাউদ)

ইসলামী সমাজে বাক-স্বাধীনতা কতটা ব্যাপক তা তাঁর খলিফাদের সময়ে সংঘঠিত বিভিন্ন ঘটনা থেকেও বুঝে আসে। রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর, খলিফাগণ সকলেই সাহসের সঙ্গে হক কথা বলার জন্য লোকদের উৎসাহ দিতেন।

বর্ণিত আছে, হজরত ওমর (রা.) একদিন ভাষণে উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, আমি যদি দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ি তাহলে তোমরা কী করবে? এক লোক উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমার তলোয়ারই তোমার ফায়সালা করবে। হজরত ওমর (রা.) ধমক দিয়ে বললেন, তুমি আমার ব্যাপারে এ কথা বলতে পারলে? লোকটি নির্ভীক চিত্তে উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমীরুল মুমিনীন। আমি আপনার সম্পর্কেই এই কথা বলছি।

হজরত আবু বকর (রা.) খেলাফতের দায়িত্ব নেয়ার পর মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘হে লোকেরা! তোমরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছ, কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি নই। ভালো ও ন্যায় কাজে তোমরা আমাকে সাহায্য করবে। আর আমি যদি কোনো অন্যায় করি তাহলে তোমরা আমাকে সোজা করবে। আমি সত্য ও সততার আদর্শ গ্রহণ করবো।’

বিয়ের মোহরানা নিয়ন্ত্রনের বিরুদ্ধে এক মহিলার বলিষ্ঠ মত প্রকাশ ও যুবক কর্তৃক মসজিদে কাপড়ের হিসাব চাওয়ার মধ্য দিয়েও বোঝা যায়, সে যুগে মত প্রকাশের সুযোগ কী পরিমাণ ছিলো! আব্বসী খলিফাদের সময়েরও এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যা মুসলিম ইতিহাসকে উজ্জ্বল করেছে।

ধর্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা; আল্লাহ তায়ালার একমাত্র মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম। কিন্তু তিনি নিজেই তা মানুষের জীবনে কার্যকর না করে এর দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষের ওপর। তাঁর দেয়া জীবন বিধান মানা, না মানার পরিণাম ঘোষণা দিয়ে, তিনি মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানুষ ইচ্ছা করলে তাঁর দেয়া জীবন বিধান মেনে চিরশান্তির পথে অগ্রসর হতে পারে। আবার অমান্য করে চিরশাস্তির পথও বেছে নিতে পারে।

জীবনাদর্শ ইখতিয়ারের ক্ষেত্রে, মানুষ বাহ্যিক কোনো বাধ্যবাধকতায় আবদ্ধ নয়। এ কথাটি আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে এভাবে বলেছেন, ‘আমি মানুষকে জীবন-পথ দেখিয়েছি। এখন সে কৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবেও জীবন যাপন করতে পারে অথবা অকৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবেও।’ (সূরা-দাহর, ৩) অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, জীবন ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো জবরদস্তি নেই। কেননা হেদায়েত, ভ্রষ্টতা থেকে সম্পূর্ণ সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অতএব, যে কেউ তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে, সে এমন এক শক্ত রশি অবলম্বন করবে যা কখনো ছিঁড়ে যাবার নয়।’ (সূরা আল-বাকারা,২৫৬)

অনেকে মনে করেন, মুসলমানরা জোর করে অসুমলিমদের ধর্মান্তরিত করেছিলো। যদি তা সত্য হিসেবে ধরেও নেয়া হয় তাহলে এখন কেন মানুষ মুসলমান হচ্ছে? এখন তো মুসলমানদের সেই তাকত বা শক্তি নেই। আসল কথা হলো, খোদ ইসলামে রয়েছে প্রবল আকর্ষন শক্তি, যা সকলের হৃদয় ও দৃষ্টিশক্তিকে খুলে দিতে সক্ষম। আল্লাহর জমিনে এই ইসলামই একমাত্র ব্যবস্থা, যা আকলের প্রতিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আজ মুসলমানদের এত অধঃপতন সত্বেও যুক্তি-তর্কের প্রতিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ইসলামের সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়া ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন তথ্য বিশ্ববাসীকে উপহার দেয়ার কারণে, ডা.মরিস বুকায়ীর মতো হাজার হাজার মানুষ মুসলমান হচ্ছে। অসংখ্য বনি আদম ইসলাম গ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

উল্লেখ্য, ঈমান আনার পর সকলকে দ্বীন মেনে চলা জরুরি। তেমনিভাবে ইসলাম গ্রহণের পর তা থেকে বের হয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। তবে দেশের অমুসলিম কোনো নাগরিক যদি ইসলাম গ্রহণ না করে, তাকে জোর করে মুসলিম বানাবার কোনো অধিকার ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের নেই।

চিন্তা ও গবেষণার স্বাধীনতা:

ইসলামী শরীয়ত ব্যক্তির চিন্তা ও গবেষণার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ ব্যাপারে কোরআনের কয়েকটি আয়াতের অর্থ তুলে ধরা হলো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মানুষ যেন চিন্তা করে দেখে, কিসের থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে তো সৃষ্টি করা হয়েছে, স্বজোরে নির্গত পানি থেকে, যা বের হয় মেরুদন্ডের হাড় ও বুকের মাঝখান থেকে। (সূরা ত্বরেক, ৫) অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে নবী আপনি বলুন! তোমরা চিন্তা করে দেখ, আসমান ও জমীনে কী রয়েছে।’ (সূরা ইউনুস,১০১)

চিন্তাশক্তি নির্জীব থাকাকে ইসলাম অপছন্দ করে। আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ওদের অন্তর আছে কিন্তু তা দিয়ে বোঝে না, কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না; ওরা হলো চতুস্পদ জন্তুর ন্যায় বরং তারচেয়েও অধম।’ (সূরা আরাফ,১৭৯)

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –