• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

এই প্রথম রংপুরে আধুনিক মানের ডাকবাংলো নির্মিত হচ্ছে

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

এই প্রথম রংপুরের উপজেলা  পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট আধুনিক মানের ডাকবাংলো নির্মাণ করা হচ্ছে। তিন উপজেলায়  নির্মাণাধীন এসব ডাকবাংলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রংপুর জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এসব নতুন ডাকবাংলোর নির্মাণ কাজ চলছে।

আগামী মাসে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় নির্মিত আধুনিক মানের ডাকবাংলোটি উদ্বোধন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর না করায়
দিন ক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে, দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট রংপুরের গঙ্গাচড়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায় ডাকবাংলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১কোটি ১৬লাখ ৫৯ হাজার ৭শ’৫৬ টাকা এছাড়াও পীরগঞ্জের দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট আধুনিক মানের ডাকবাংলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭৬হাজার ৩শ ২৬ টাকা।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের আট উপজেলার মধ্যে ৫টিতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ডাকবাংলো ভবনগুলোতে বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও সংস্কারের অভাবে ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মানুষজনের পরিচ্ছন্ন আধুনিক রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধের কথা বিবেচনা করে আধুনিক মানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাকবাংলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮শ’ ৪৭ টাকা ব্যয়ে মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়া ও পীরগঞ্জ উপজেলায় ডাকবাংলো নির্মাণ কাজ চলছে।

মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আখতার জেসমিন  বলেন, ব্রিটিশ আমলের একটি ডাকবাংলো রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেক সময় মিঠাপুকুরে দেশি বিদেশি অনেক অতিথি, পর্যটন আসেন। তাদের জন্য আধুনিক মানের ডাকবাংলো প্রয়োজন।

এদিকে রংপুর জেলা পরিষদের সিনিয়র প্রকৌশলী সোহেল রানা  জানান, মিঠাপুকুরে নির্মিত ডাকবাংলোর সকল কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু স্যানিটেশন কাজ করা হচ্ছে। আর গঙ্গাচড়া উপজেলায় নির্মিত ডাকবাংলোর ৭৫ ভাগ এবং পীরগঞ্জের নির্মিত ডাকবাংলোর ৩০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার বিপ্লব বিশ্বাস জানান, মিঠাপুকুর উপজেলায় নির্মিত ডাকবাংলোটি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো। বিল্ডিংয়ের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু আসবাবপত্র উঠানো বাকি রয়েছে।

রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম  জানান, নবনির্মিত প্রতিটি আধুনিক দ্বিতল দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলোতে রুম সংখ্যা থাকছে ৫টি, ওয়াশরুম থাকছে ৭টি, ডাইনিং রুম থাকছে ১টি এবং হল রুম থাকছে ১টি। পর্যায়ক্রমে রংপুরের পীরগাছা, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলায় আধুনিক মানের ডাকবাংলো নির্মাণ করা হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –