• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে যত কথা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

কি এই ইভিএম?

নুরু মিয়ার আগ্রহের এই যন্ত্রটির নাম হলো ইভিএম (EVM-Electronic Voting Machine)।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয় বলে একে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম বলা হয়। এটি ই-ভোটিং নামেও পরিচিত।

সর্বপ্রথম ১৯৩৬ সালের জুলাই মাসে ‘আইবিএম’ কোম্পানি যান্ত্রিকভাবে ভোট দেয়ার প্রযুক্তি তৈরী করে। এতে পাঞ্চ কার্ডের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি প্রথমবারের মতো ব্যবহার হয়।

ইভিএমে একজন ভোটারের কোনভাবেই একটির বেশি ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে না। সাধারণ ব্যালট ভোটের মতো কেন্দ্রেও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট, নেতাকর্মীসহ পর্যবেক্ষকরা তো থাকবেই। মেশিনটিতে একটি পূর্ব-প্রোগ্রামিং করা মাইক্রোচিপ থাকে যা প্রতিটি ভোটের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে হিসেব করে প্রদর্শন করে। এটি কয়েকটি ইউনিটে ভাগ করা থাকে। ইউনিটগুলো হলো-

১. ব্যালট ইউনিট:

ব্যালট ইউনিটটি থাকে বুথের ভেতর। এই ইউনিটের উপর প্রার্থীর নাম ও প্রতীক ছাপানো থাকে। প্রতিটা প্রতীকের পাশে থাকে একটি করে সুইচ। সুইচে ক্লিক করে ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।

২. কন্ট্রোল ইউনিট:

কন্ট্রোল ইউনিট থাকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনের টেবিলে। এই ইউনিটে আছে একটা স্টার্ট বাটন, ক্লোজ বাটন, মেমোরি ক্লিয়ার বাটন, ডেমো রেজাল্ট বাটন, ফাইনাল রেজাল্ট বাটন ও ব্যালট সুইচ। এই ব্যালট সুইচটি চাপ দেয়ার সাথে সাথে বুথের ভেতর থাকা ব্যালট ইউনিটটি একটি মাত্র ভোট নেবার জন্য কার্যকর হয়। একজন ভোটার ভোট দিয়ে বেরিয়ে এলে,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যালট সুইচ চেপে পরের ভোটারের জন্য ব্যালট ইউনিটটি কার্যকর করেন, তবে এটি ১২ সেকেন্ডের আগে কোনভাবেই পরবর্তী ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয় না।

৩. ডিসপ্লে ইউনিট:

কন্ট্রোল ইউনিট এর সামনে রাখা এই ইউনিটটি সকলেই দেখতে পায়। একজন ভোটার সঠিকভাবে ভোট দেবার পর ডিসপ্লেতে একটি সংখ্যা বেড়ে যায়, এতে পোলিং এজেন্টরা সহজেই বুঝতে পারেন ভোটটি গৃহীত হয়েছে কিনা।

৪. ব্যাটারি ইউনিট:

এই মেশিন চালাতে দরকার হয় ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারি। ব্যাটারিতে মেশিনটি সারাদিন চলতে পারে ফলে বাড়তি কোন বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। আর ভোটারের শক খাবারও কোন আশংকা থাকেনা।

৫. স্মার্ট কার্ড ও মাস্টার কার্ড:

কন্ট্রোল ইউনিট পরিচালনা করার জন্য এই কার্ড দুটির প্রয়োজন। স্মার্ট কার্ড দিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ইভিএম মেশিন অন করবেন এবং পরীক্ষামূলক ভোট সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে এটা দিয়ে আসল ভোট শুরু করা যায় না। আসল ভোট শুরু করার জন্য মাস্টার কার্ড প্রয়োজন। একটি ভোট দিতে আনুমানিক ১৪ সেকেন্ড সময় লাগে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –