• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

‘আ`লীগের সমর্থন বৃদ্ধির প্রতিফলন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পড়েছে’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

আবারো বিএনপি’র নেতৃত্বশূন্যতার প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সমর্থন বৃদ্ধি হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর প্রতিফলন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে।
 
তিনি আরো বলেন, বিএনপি যত বক্তৃতা দিক আর যত কথাই বলুক না কেন, তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, তখন তাদের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস কিছুই থাকে না। সেই বিশ্বাস ও আস্থা এখন আর তাদের প্রতি জনগণের নেই। 

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যেহেতু সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে ও দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে, কাজেই স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে যার প্রতিফলন আমরা দেখলাম। 

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ও হাসি পায় যে, যাদের গায়ে দুর্নীতির ছাপ, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে যাদের নেতাকে কারাবরণ করতে হয়, যাদের বিরুদ্ধে ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের মামলা রয়েছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বিরোধী দলের নেতাকে হত্যা প্রচেষ্টার মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত- তারা যদি জনগণের নেতৃত্বে থাকে, তবে সেই দল কীভাবে জনগণের কাজ করবে।

তিনি বলেন, মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে। এখন ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট হচ্ছে, যেখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। যে যার ভোট দিতে পারে। 

অতীতের নির্বাচনকালীন প্রহসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা- সেদিন আর এখন নেই বা ভোট বন্ধ থাকলেও একজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো- সেদিনও নেই। 

সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশকে নিজ পায়ে দাঁড় করাতে চেয়েছে। সেটা পেরেছে। জনগণ ভোট দিয়েছে, তাই তাদের মর্যাদা রক্ষা করা ও সেবা করা সরকারের দায়িত্ব। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

সরকার প্রধান বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে কথা বলেছিলেন। আসলে ভ্যাকসিন এসে নিজেই তার উত্তর দিয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা ক্রয় করেছি। এই ভ্যাকসিন নেয়ার পর খারাপ কোনো রি-অ্যাকশনের কথা শোনা যায়নি। তারপরও আমরা মনিটর করছি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। এ নিয়ে দেশে প্রশংসা শুনিনি। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেছেন। 

তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন, তাদের এখনও মাস্ক পরে থাকতে হবে। সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –