• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

বাঙালি জাতির অন্যতম সাত বীর সন্তানের একজন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে বাংলার এই সূর্য সন্তান শহীদ হন। 
ভারতের ত্রিপুরার আমবাসা গ্রামের গ্রামবাসীরা তাকে তাদের গ্রামে সমাহিত করেছিল। ২০০৫ সালে স্থানীয়দের দাবির মুখে ভারতের ত্রিপুরার আমবাসা গ্রাম থেকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ বাংলাদেশে আনা হয়। পরে তার দেহাবশেষ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের পরিবার ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর (বর্তমান হামিদনগর) গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের অমর স্বাক্ষর রাখা হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালে ভারতের নদীয়া জেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। তবে শৈশব আর বেড়ে ওঠার সময়টা পার করেছেন ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর থানার খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে।

১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন হামিদুর রহমান। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ-পূর্বে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই নামক স্থানে মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ২৮ অক্টোবর রাতে ধলই এর যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা প্রদর্শন করে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার জন্য হামিদুর রহমান সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত হন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য সরকার নিবেদিত প্রাণ। ভালবেসে অনেকেই এই সরকারকে মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারও বলে থাকেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। সরকার সকল বীরশ্রেষ্ঠদের জন্ম-মৃত্যুসহ বিভিন্ন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সাথে পালন করে। 
অনেকই মনে করেন, সারাদেশের মানুষের কাছে সরকারের জনপ্রিয়তার কারণগুলোর মধ্যে এটিু একটি বড় কারণ।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –