• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

আইনজীবীদের দৌড়ঝাঁপে বিশ্বাস নেই বিএনপির

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

দলীয় কর্মসূচি কিংবা আইনজীবীদের দৌড়ঝাঁপ, কোনো কিছুতেই বিশ্বাস নেই বিএনপির। তাই দলের চেয়ারপার্সন খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে তার পরিবারের সদস্যরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলীয় কর্মসূচি ও আইনজীবীদের তোড়জোড়ের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ভেঙে গেছে জিয়া পরিবারের। তাই খালেদার মুক্তির একমাত্র পথ সরকারের সদিচ্ছাকে মনে করছে তার পরিবার। আর তাই দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেই সরকারের কাছে দেন-দরবার করছে।

খালেদার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে তারা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। আইনি পথে খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টা করা হলেও সফল হয়নি তার আইনজীবীরা। তাই এ বিষয়ে আর দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে সম্পৃক্ত করতে চান না খালেদার পরিবারের সদস্যরা। জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য তাই তারা নিজেরাই সরকারের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি করায় বিএনপির আজ এ অবস্থা।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকলে বিএনপির ভোট বাড়বে। এমন ধারণা ছিল বিএনপি নেতাদের। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে তারা সফল হননি। অপরের জন্য গর্ত খুঁড়ে নিজেরাই সেই গর্তে পড়েছে। যার ফলে রাজনৈতিকভাবে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা এখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুখের কথা বিশ্বাস করে না। ফলে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের ওপরই নির্ভরশীল। 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। দলীয় কর্মসূচি ও আইনজীবীদের দৌড়ঝাঁপে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। দীর্ঘ ২৫ মাস পর তার কৃপায় নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি হয় খালেদার। সেই হিসেবে আগামী মাসেই শেষ হতে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার জামিনের সময়সীমা। এমন অবস্থায় আবারো সরকারের শরণাপন্ন হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –