• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

অন্য বন্দিদের সঙ্গে আবারও জেল খাটবেন জিমি লাই

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২১  

চীনের ক্র্যাকডাউন করার পরেও জাতীয় সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের কারণে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে অননুমোদিত সমাবেশ আয়োজনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। তাকে ১৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। গত শুক্রবার হংকং জেলা আদালত অন্য ৯ জনকে ১৪-৩৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য কারাবন্দিদের সঙ্গে জিমি লাই মোট ২০ মাস জেল খাটবেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এখনও একাধিক অভিযোগ বিচারাধীন। তিনি দীর্ঘ কারাবাসের কবলে পড়তে যাচ্ছেন বলে ডিমসাম ডেইলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

এছাড়া ফিগো চ্যান, লি চুক-ইয়ান, লেইং কোভ-হাং এবং অ্যালবার্ট হো যারা অননুমোদিত সমাবেশ পরিচালনা এবং অন্যকে অনানুষ্ঠানিক সমাবেশে অংশ নিতে প্ররোচিত করার একটি অপরাধের দোষ স্বীকার করেছেন। তাদের যথাক্রমে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ইয়েং সুম ও সিড হো কে ওই সমাবেশ পরিচালনা করার অপরাধের যথাক্রমে ১৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিন চুং-কাইকে ২৪ মাসের জন্য স্থগিতাদেশের শাস্তি সহ ১৪ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট ও ৩১ আগস্ট গণতন্ত্রপন্থী 'অবৈধ' বিক্ষোভের জন্য সমাবেশের আয়োজন ও অংশ নেওয়ার জন্য জিমি লাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গতকাল সোমবার আরো ৯ জন ব্যক্তির সঙ্গে তাকে আবারও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

হংকং-এ  চীন যে নতুন ও বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র, বিক্ষোভ দেখিয়ে জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজ করলেই গ্রেপ্তার করা হবে। তখনই মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছিলেন, চীনের নতুন আইন গণতন্ত্রবিরোধী এবং তা হংকং-এর লোকেদের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেবে। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। এর আগে এই আইন প্রয়োগ করে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের গ্রেপ্তার করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এখনো পর্যন্ত যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার মধ্যে লাই হলেন সব চেয়ে হাই-প্রোফাইল। পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো তথ্য পুলিশ দেয়নি।

কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকার পর ২০১৯ এর জুনে চীন এই নতুন আইন চালু করে। এই আইনে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিধ্বংসী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ অথবা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে ঢালাও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া তারা তল্লাশি করতে পারবে, সামাজিক মাধ্যম থেকে যেকোনো মেসেজ ডিলিট করতে পারবে এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে। নতুন আইনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে কোনোরকম উসকানি দেওয়া যাবে না। তারা যে হংকং মিডিয়াকে শাসন করতে চায়, এ নিয়ে চীনও কোনো লুকোছাপা করেনি। আর তারা স্থানীয় ও বিদেশি এই দুই ধরনের মিডিয়াকেই শাসন করতে চায়। হংকং-এর রিপোর্টারদের মধ্যমেই মূলত চীনের খবর এতদিন বাইরের দুনিয়ায় এসেছে। কিন্তু এখন সাংবাদিকদের আশঙ্কা, তাঁদের এই ধরনের রিপোর্টিং বিপদ ডেকে আনবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –