• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

অগ্নি ঝুঁকিতে রংপুর নগরীর ৯৫ ভাগ ভবন: ফায়ার সার্ভিস

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৯  

রংপুর মহানগরীর বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ভবন পরিদর্শনে তৎপরতা বাড়িয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিদিনই নগরীর কোন না কোন এলাকায় চলছে অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন। 

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ার রমিসা টাওয়ার এবং কাচারী বাজার এলাকার রেজেকা টাওয়ার পরিদর্শন করা হয়। এসময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণসহ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ভবন দুটিতে অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যানার ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়।

পরিদর্শনকালীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক ইউনুস আলী সাংবাদিকদের জানান, নগরীর ৯৫ ভাগ ভবনেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। বিল্ডি কোড না মেনে ভবন নির্মাণসহ অগ্নি দূর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়ম মানছেন না ভবন মালিকরা। একারণে দিন দিন এসব ভবনে বাড়ছে অগ্নি ঝুঁকি। আমাদের প্রতিনিধি দল ভবন পরিদর্শনে মাঠে নেমেছেন। যেসব ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পাওয়া যাবে না, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব আইনে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের আগুণের ঝুঁকির তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। এই সরকারি হাসপাতালটিতে প্রতিদিন চিকিৎসা নেয় প্রায় দুই হাজার রোগী। এছাড়াও অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কছিরউদ্দিন হাসপাতাল, প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল।

হাসপাতালের মতো নগরীর বেশির ভাগ বিপণী বিতানও অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, কমিউনিটি সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানী শপিং কমপ্লেক্স, গোল্ডেন টাওয়ার, শাহ্ আমানত টাওয়ার, মিনি সুপার মার্কেট, সিটি বাজার, নবাবগঞ্জ বাজারসহ ছোট বড় বাণিজ্যিক ভবন ও মার্কেটগুলোতে অগ্নি নির্বাপণের নেই সামান্য ব্যবস্থা। এসব মার্কেট ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে মূহুর্তেই হতে পারে যে কারো অকাল প্রয়াণ।

বিভিন্ন বহুতল বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে রয়েছে বেসরকারি ব্যাংক, আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এগুলোর বেশির ভাগেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ও ফায়ার এ্যলার্ম নেই।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঁচ তলা থেকে সতেরো তলা পর্যন্ত বেশির ভাগেরই নেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। ফলে ভবনগুলোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অসংখ্য মানুষের হতাহতের ঝুঁকির সাথে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হবার সম্ভাবনা। এসব ভবন ও মাকের্ট দেখভালের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের হলেও ভবন মালিকরা নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ সিটি কর্পোরেশনের। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছেন, নিয়ম অমান্যকারীদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কাজ শুরু করছেন তারা।

এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা ভবন মালিক, তাদের বেশির ভাগ নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তারা ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেননি। এমনকি আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে কী রকম ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সেই পরামর্শটাও গ্রহণ করেনি।’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –