• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

ইন্টারনেট সেবায় ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২১  

ইন্টারনেট সেবায় ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ রবিবার থেকে রাজধানীসহ দেশের ছয় জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এই সুবিধা চালু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর সংস্থা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মোস্তাফা জব্বার জানান, রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও টুঙ্গিপাড়া এই ছয় জায়গা ফাইভ-জি কভারেজের আওতায় আসছে। পরবর্তী সময়ে টেলিটক ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করবে। আগামী বছর মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেওয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি চালু করবে। ২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএলের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোতে এই সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে।

দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ টেলিটককে অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে। ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবাদানের বিষয়ে চলতি বছরের অক্টোবরে টেলিটকের সঙ্গে হুয়াওয়ের চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করার ক্ষেত্রে টেলিটককে বিশ্বমানের সেবা দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২০ সালে বিশ্বের ৬/৭টি দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে সক্ষম হয়। মালয়েশিয়া আগামী মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছে। আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো ফাইভ-জি যুগে যেতে পারেনি, আমরা যাচ্ছি।

ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস), রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

ফাইভ-জি প্রযুক্তির সুবিধা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত ও গুণগত মানের ভয়েস কল ও ফোর-জি থেকে বহুগুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে। চালকবিহীন গাড়ি চালানো যাবে, কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –