• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

হজে গিয়ে ব্যবসাও করা যাবে?

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২  

হজের মৌসুমে ব্যবসা করা জায়েয। সুরা বাকারার ১৯৮ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজে গমনকারীদের মধ্যে যারা জীবিকা উপার্জন উপলক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়; তা তাদের জন্য বৈধ ঘোষণা করেছেন। অথচ প্রাক ইসলামি যুগে আরবের লোকেরা ইহাকে অবৈধ মনে করতো।

ইমাম তাবারী তার তাফসির গ্রন্থে সনদসহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে আল্লাহ্‌র বাণী: “তোমরা তোমাদের প্রভুর অনুগ্রহ তালাশ করতে কোন আপত্তি নেই।” [সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৯৮] এর ব্যাখ্যায় সংকলন করেছেন যে, তিনি বলেন: ইহরাম করার পূর্বে কিংবা ইহরাম করার পরে ক্রয়বিক্রয় করতে কোন আপত্তি নেই।

হজরত আবু উমামা তাইমি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা মুসাফিরদের আরোহনের জন্যেই ভাড়ায় সাওয়ারি দিয়ে থাকি; লোকেরা বলে আমাদের হজ হবে না। হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা কি অন্যদের মতো ইহরাম বাঁধ না? তোমরা কি তাওয়াফ কর না? তোমরা কি জামরাতে প্রস্তর নিক্ষেপ কর না?

আমি বললাম, আমরা এসব আরকান আদায় করি। তখন হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাহলে তোমাদের হজ হয়েছে। অতঃপর হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক ব্যক্তি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান দরবারে হাজির হয়ে এ প্রশ্নই করেছিল; যা তুমি (আমাকে) করেছ। তখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কোনো জবাব প্রদান করেনি।

এমন সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম এ আয়াত নিয়ে হাজির হলেন।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মাশআরে হারামের কাছে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে আল্লাহ তাআলাকে গভীর ভালোবাসায় একনিষ্ঠতার সঙ্গে স্মরণ করার নির্দেশ রয়েছে। আর মাশআরে হারাম হলো মুযদালিফার দুটি পাহাড়ের মর্ধবর্তী স্থান। যেখানে রাত যাপন করতে হয় এবং এখানে আল্লাহ তাআলাকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে হয়।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –