• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

অগ্নিকাণ্ড দেখলে যে দোয়া পড়তে হয়

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২  

দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ড বলে-কয়ে আসে না। যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং নিভে যেতে পারে তরতাজা প্রাণ। তাই কোথাও আগুন লাগলে আশপাশে যারা থাকেন তারা আগুন নেভানোর যাবতীয় চেষ্টা অব্যাহত রাখার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করা এবং দোয়া পড়া।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত- হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন দেখ, তখন তোমরা তাকবির দাও। কেননা তাকবির আগুন নিভিয়ে দেয়। (তাবরানি : ১/৩০৭)। 
 
তাকবির হলো: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।

অর্থ: আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত প্রলয়ঙ্করী হোক; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা : ৫/১৮৮)। 

এ ছাড়াও কোরআনে বর্ণিত একটি আয়াত রয়েছে। যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়ে, আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে আসে। হজরত ইবরাহীম (আ.)-কে আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। অগ্নিুকাণ্ডের সময় এ দোয়া পড়ে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা-

উচ্চারণ: ‘ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’

অর্থ: হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’

আজান দেয়া: আগুনের আক্রমণ যদি বেড়ে যায় তবে উচ্চ স্বরে আগুন নেভানোর নিয়তে আজান দিলেও আল্লাহর রহমতে আগুন নিভে যায়।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে উচ্চ স্বরে আল্লাহ তায়ালার তাসবিহ ও আজান দেয়ার তাওফিক দিন। আল্লাহর আজাব-গজব থেকে বেচে থাকতে তার বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –