• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

রোজাদারকে ইফতার করালে রোজার সমান সওয়াব

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২২  

জেনে রাখা দরকার, রমজান মাসের পুরোটাই ইবাদতের শামিল। এ মাসে রোজা রাখা যেমন ফজিলতের, ইফতার করাও ফজিলতের। ইফতার করানোও। তারাবি আদায় করা, সেহরি খাওয়া, কিয়ামুল লাইল, এতেকাফ করা সবই ইবাদত।

শুধু তাই নয়, এ মাসে একটি নফল আদায়ে ফরজ আদায়ের সমান সওয়াব মেলে। এজন্য সামর্থ্যবানরা দান করছেন হাত খুলে। প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে। তেলাওয়াতে কল্ব সতেজ করছেন হাফেজে কোরআন ও কোরআনপ্রেমী বান্দা। এসব মিলিয়েই ইবাদতের মৌসুম রমজান। মাওলার দিদার লাভের মাস রমজান।

জান্নাতের পথ সুগম করার মাস রমজান। ইবাদতের প্রতিযোগিতা করার অপূর্ব সুযোগ এই রমজান। অন্য কোনো প্রতিযোগিতা নয়। খেলার প্রতিযোগিতা নয়। ব্যবসার প্রতিযোগিতা নয়। বেপর্দা হওয়া, গান-বাজনা, টিভি দেখা, খেলা দেখা বা দুনিয়া নিয়ে জমে থাকার সময় এ মাস নয়।

এ মাসে সামান্য দানেরও সওয়াব অনেক বেশি। কী অপূর্ব মওকা। একজন রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করালেই রোজাদারের সমান সওয়াব মিলবে। সুবহানাল্লাহ।

 রমজান মাসে মহানবী (সা.) অত্যধিক দান করতেন। তাই সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে সালেহিনও বেশি বেশি দান করতেন। প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন। আর রমজান মাসে যখন জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি আরো বেশি দান করতেন।

জিবরাইল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাকে কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে যখন জিবরাইল (আ.) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণে প্রবহমান বাতাসের চেয়েও বেশি দান করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৩২২০)

দানের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনেক বড় সুযোগ মেলে। মহান আল্লাহ দানের পরিপূর্ণ প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, আমার রব বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার রিজিক বৃদ্ধি করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সীমিত করেন, তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি এর প্রতিদান দেবেন, তিনিই সর্বোত্তম রিজিকদাতা। ’ (সুরা সাবা, আয়াত : ৩৯)

রমজানে দানের একটি দিক হলো রোজাদারকে ইফতার করানো। রোজাদারকে ইফতার করালে রোজার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ঐ রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৪৬)

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –