সম্পদ উপার্জন নিন্দনীয় নয়

পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে সম্পদ অর্জন করতে হয়। কিন্তু সম্পদ অর্জনই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। এর মানে এই নয় যে মানুষ তার প্রাপ্য হকও ছেড়ে দেবে। আয়-উপার্জন ছেড়ে দেবে ও উত্তরাধিকারদের অন্যের কাছে মুখাপেক্ষী রেখে ফেলে যাবে। ইতিহাস সাক্ষী যে পৃথিবীর সর্বোত্তম মানব নবী-রাসুলরা জীবিকা উপার্জনের জন্য শ্রম ব্যয় করেছেন। বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা জীবিকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করেছেন। বিনাশ্রমের উপার্জনকে তাঁরা ঘৃণা করতেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নামাজ আদায়ের পর তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) অন্বেষণ করো।’ (সুরা : জুমা, আয়াত : ১০)
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি মাধ্যম হলো দান-খয়রাত। নিজ হাতে উপার্জিত সম্পদকে দান করলে মহান আল্লাহ বেশি খুশি হন এবং বহুগুণে তার প্রতিদান দেন।
সাঈদ ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে লোক বৈধ উপার্জন থেকে দান-খয়রাত করে, আর আল্লাহ তাআলা হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না, সেই দান দয়াময় রহমান স্বয়ং ডান হাতে গ্রহণ করেন, তা যদি সামান্য একটি খেজুর হয় তাহলেও। এটা দয়াময় রহমানের হাতে বাড়তে বাড়তে পাহাড় হতেও বড় হয়ে যায়; যেভাবে তোমাদের কেউ তার দুধ ছাড়ানো গাভি বা ঘোড়ার বাচ্চাকে লালনপালন করে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৬৬১)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বামীর ঘর থেকে স্ত্রী কোনো কিছু দান করলে এতে তার সওয়াব হয়। স্বামীরও সমপরিমাণ সওয়াব হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণকারীরও সমপরিমাণ সওয়াব হয়। এতে একজন অন্যজনের কিছু পরিমাণ সওয়াবও কমাতে পারে না। স্বামীকে উপার্জনের জন্য এবং স্ত্রীকে খরচের জন্য সওয়াব দেওয়া হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৬৭১)
বোঝা গেল, ইসলামে উপার্জনের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং সন্তানদের হালাল পদ্ধতিতে সম্পদ সংরক্ষণেরও অনুমতি রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর উদ্দেশে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমার উত্তরাধিকারীদের মানুষের মুখাপেক্ষী বানিয়ে দরিদ্র অবস্থায় রেখে যাওয়া অপেক্ষা সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাওয়া অধিক উত্তম।’ (বুখারি, হাদিস : ১২৯৫)
সন্তানদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে হালাল পদ্ধতিতে সম্পদ সংরক্ষণকে ইসলাম এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে এক সাহাবি তাঁর সব সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করার ইচ্ছা পোষণ করলে মহানবী (সা.) তা গ্রহণ করেননি। বরং তিনি তাঁকে তাঁর সব সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ ওয়াকফ করার অনুমতি দেন।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, সাদ (রা.) বলেন, আমি মক্কায় রোগগ্রস্ত হলে রাসুল (সা.) আমার শুশ্রূষার জন্য আসেন। আমি বললাম, আমার তো সম্পদ আছে। সেগুলো আমি ওসিয়ত করে যাই? তিনি বলেন, না। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বলেন, না। আমি বললাম, তবে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বলেন, এক-তৃতীয়াংশ করতে পারো। আর এক-তৃতীয়াংশই তো বেশি। মানুষের কাছে হাত পেতে পেতে ফিরবে ওয়ারিশদের এ রকম ফকির অবস্থায় ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে তাদের বিত্তবান অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম। আর যা-ই তুমি খরচ করবে, তা-ই তোমার জন্য সদকা হবে। এমনকি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দেবে, সেটাও। সম্ভবত আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করবেন। তোমার দ্বারা অনেক লোক উপকৃত হবে, আবার অন্যরা (অবিশ্বাসী সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৪)
অতএব মহান আল্লাহর বিধান মেনে সম্পদ উপার্জন করা নিন্দনীয় নয়। তবে সম্পদ উপার্জনের নেশায় পড়ে হালাল-হারামের তারতম্য ও মহান আল্লাহর বিধান ভুলে যাওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ সবাইকে হালাল পদ্ধতিতে সম্পদ উপার্জন করার তাওফিক দান করুন।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- দেশ পরিকল্পিত পথেই এগিয়ে চলছে: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
- অনলাইনে ৪০ দিনে ৪০ কোটি টাকার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়
- বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে ম্যান সিটির জয়
- শাকিব ভক্তদের জন্য সুখবর
- আল্লাহ নিজেই যে নামাজের জন্য ডাকেন
- বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত নিদর্শন অমূল্য সম্পদ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
- অনড় অবস্থান থেকে সরে আসলেন ইমরান খান!
- বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: বিমান প্রতিমন্ত্রী
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উদ্বেগের বড় জায়গা: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
- স্কুলেও দেওয়া হবে শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সারাবিশ্বে রোল মডেল: পলক
- রংপুরে চালককে অচেতন করে অটোরিক্সা নিয়ে চম্পট
- কুড়িগ্রামে দূষণের দায়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা
- ঠাকুরগাঁওয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা
- ১ মাস পর কবর থেকে তোলা হালো শিশুর লাশ
- পাঁচ সন্তান নিয়ে মায়ের কষ্টের জীবন
- বাংলাদেশের মতো কেউ এত স্বাধীনভাবে লিখতে পারে না: তথ্যসচিব
- বালিয়াডাঙ্গীতে ঘর পেয়ে কষ্ট দূর হয়েছে প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলামের
- বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে পুঁটি মাছের মতো: হাছান মাহমুদ
- কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে রাখীবন্ধন অনুষ্ঠান পালিত
- অপরূপ সাজে সেজেছে রংপুরের কাউনিয়ার পদ্ম বিল
- রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর করছে কৃষাণীরা
- ভারত থেকে আমদানির ফলে অর্ধেকে নেমেছে কাঁচা মরিচের দাম
- বিএনপি নিচু মানসিকতার রাজনীতি করে: মাহবুবউল আলম হানিফ
- করোনায় মৃত্যুশূন্য দেশ, নতুন শনাক্ত ১৪৪
- চলতি বছরেই ১৫ আগস্টের কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন গঠন: আইনমন্ত্রী
- ডিপ্লোমা কোর্স ৩ বছর হওয়াই যৌক্তিক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
- ছন্দপতনের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত বিএনপি
- ডোমারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসে মিলল কলেজছাত্রের লাশ
- আচরণ-কথাবার্তায় আরো দায়িত্বশীল হতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- `প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রকৌশলীদের আস্থা প্রশংসনীয়`
- দিনাজপুরে বৃষ্টির আশায় ৫০০ লোকের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়ে
- রেমিট্যান্স অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- লাইট-এসি বন্ধ রেখে বৈঠক করল সংসদীয় কমিটি
- সেপ্টেম্বর থেকে চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা
- বিএনপির কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়ার অসন্তোষ
- পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে চাই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- রংপুরসহ আট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- বিদ্যমান আইন আধুনিকায়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- নিন্দুকেরা সব সময় নিন্দাই করবেন: পূর্ণিমা
- অস্ত্রের হুমকি থেকে বিশ্বকে মুক্ত রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- মানসম্পন্ন তেল বীজ উদ্ভাবন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরামর্শ
- হাইকোর্টে ১১ বিচারক নিয়োগ
- কাউনিয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়েবাড়িতে হামলা
- ৬ ঘণ্টা পর উত্তরের পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- ‘বাংলাদেশের মানুষ এখনও স্বল্পমূল্যে সবকিছু খাচ্ছে’
- দেশের দুই জেলা, ৫২ উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত: প্রধানমন্ত্রী
- ফুলবাড়ী স্টেশনের চা দোকানে বিক্রি হয় রেলের টিকিট
- `ইউনিয়ন পর্যায়েও ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে`