ইসলামী চিকিৎসাবিজ্ঞান: মহামারি প্রতিরোধে মনস্তত্ত্বে জোর
মানুষ সব সময় আতঙ্কে থাকে অন্যের রোগ তাকে ধরে বসবে অথবা নিজেই রোগাক্রান্ত হবে। মানুষের এই ভয়ের কারণ তার শারীরিক দুর্বলতা ও মহামারির অতীত ইতিহাস। কেননা সামান্য ঠাণ্ডা থেকে প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ এবং ইতিহাসের নানা পর্যায়ে মহামারিতে কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। যদিও সৌভাগ্যবশত বহু মানুষ বেঁচেও গেছে। নিকট-অতীতে চতুর্দশ শতকের বুবনিক প্লেগ এবং ১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব মানব ইতিহাসে দুটি কালো অধ্যায় রচনা করে গেছে। মুসলিম সভ্যতার সূচনাকাল থেকে এ পর্যন্ত একাধিকবার প্লেগসহ অন্য সংক্রক ব্যাধির মুখোমুখি হয়েছে মুসলিমরা। এখন জানার বিষয় হলো, মুসলিম বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা কিভাবে তা মোকাবেলা করেছিল এবং তা থেকে আধুনিক যুগের বিজ্ঞানীদের কোনো কিছু নেওয়ার আছে কি না?
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার
প্রাথমিক যুগের মুসলিম চিকিৎসকরা মহামারি মোকাবেলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতেন এবং তারা সব বয়সী মানুষের ভেতর সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার অংশ হিসেবে খেলাধুলা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্যকর পানাহার ও পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দিতেন। তাঁরা দুশ্চিন্তা, রাগ ও উদ্বেগের পরিবর্তে মানুষকে ইতিবাচক মনোভাব পোষণে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক আছে। এ বিষয়গুলো আল-রাজি তাঁর ‘কিতাবু মানাফিউল আগদিয়াতে ওয়া-দাফয়ি মুদাররাতি’ গ্রন্থে এবং ইবনে সিনা ‘কানুন অব মেডিসিন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাঁরা নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছিলেন।
সামাজিক দূরত্ব : চতুর্দশ শতকের ধর্মতাত্ত্বিক ও চিকিৎসক ইবনুল কায়্যিম ঝাওজি (রহ.) মহানবী (সা.)-এর একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন—‘তোমরা কুষ্ঠরোগী থেকে সেভাবে পালিয়ে যাও, যেভাবে সিংহ দেখে পালাও।’ আর সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানে যে কুষ্ঠের মতো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো অসুস্থ ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। ইবনে কায়্যিম তাঁর ‘আত-তিব্ব আন-নাবাবি’ গ্রন্থে প্রমাণ করেছেন যে কিভাবে সংক্রামক ব্যাধিগুলো মানুষের সংস্পর্শ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গরোধ : মুসলিম সভ্যতার ইতিহাসে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক ‘বিমারিস্তান নামে’ প্রথম হাসপাতাল স্থাপন করেন। ৭০৭ খ্রিস্টাব্দে দামেস্কে স্থাপিত এই হাসপাতালে কুষ্ঠ রোগীদের পৃথক ওয়ার্ড ছিল। যেখানে নিময়িত ও সাধারণ যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল। বিভাগটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল যেন অন্য রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।
চলাচলে বিধি-নিষেধ : মহামারির ব্যাপারে হাদিসের নির্দেশনা হলো—কোনো ব্যক্তি মহামারি আক্রান্ত কোনো অঞ্চলে প্রবেশ করবে না এবং সেখান থেকে কেউ বেরও হবে না। চতুর্দশ শতকের স্প্যানিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবু জাফর আমাদ ইবনে আলী ইবনে খাতিমা উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করেন আলমিরা শহরে বুবনিক প্লেগ ছড়িয়ে পড়ার পর যখন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাঁর অবরুদ্ধ সময়ের পূর্ণ ব্যবহার করেছিলেন রোগীর যত্ন, রোগের স্বরূপ সন্ধান ও তা ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে। তিনি তাঁর গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তাঁর ‘তাহসিলু গারদুল কাসিদ ফি তাফসিলিল মারাদুল ওয়াফিদ’। ইবনে খাতিমার অনুসন্ধানের মধ্যে ছিল পরিমিত খাবার গ্রহণ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, শরীরে রোগের প্রভাব ও তা সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া।
মোটকথা, মুসলিম চিকিৎসক মহামারি প্রতিরোধে সর্বোত্তম পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় সরকারগুলো যেসব পরামর্শ দিচ্ছে তা মুসলিম চিকিৎসকদের পরামর্শের কাছাকাছি। সুতরাং অতীতে প্রয়োগকৃত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করেও বর্তমান সময়ের ভয়াবহতা থেকে আত্মরক্ষায় উপকৃত হওয়া সম্ভব।
কোরআনই অনুপ্রেরণা
মুসলিম বিজ্ঞানীরা মহামারি ছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় অনন্য অবদান রাখেন। তাদের এই জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল আল কোরআন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে এক ব্যক্তির জীবনরক্ষা করল, সে যেন গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করল।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩২)
এ ছাড়া মৌলিকভাবে কোরআন হলো সব জ্ঞানের আধার। আল্লাহ বলেন, ‘কিতাবে কোনো কিছু আমি বাদ দিইনি।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ৩৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আত্মসমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৮৯)
অমুসলিম জ্ঞানী ও পণ্ডিতরা কোরআনকে বিজ্ঞানের উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যেমন জার্মান পণ্ডিত Dr. Karl Optiz Zuvi Die Medizin Im Koran গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, কোরআনের ১১৪টি সুরার মধ্যে ৯৭টি সুরায় ৩৫৫ আয়াতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিষয়ে উল্লেখ আছে। প্রখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী Hartwig Hirschfield Zuvi New Researches in to the Composition and Exegesis of the Quran গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, We must not be surprised to find the Quran regarded as the fountain head of all sciences. (কোরআন সব বিজ্ঞানের প্রধান উৎস)।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- যৌতুক ছাড়াই একসঙ্গে বিয়ে করলেন দুই বন্ধু
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, আইপিএলে অন্যরাই তার থেকে শিখবে’
- বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
- তীব্র তাপপ্রবাহ বিষয়ে যা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)
- বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না: র্যাব ডিজি
- চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- তিনদিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বিশ্ববাজারে চাল ও গমের দাম কমেছে
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা