যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে বিপর্যয়ের মুখে বিএনপি

ড. সেলিম মাহমুদ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তবে এই নতুন নীতির ফলে বিএনপি'র ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ৪২ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে। শেখ হাসিনা এই দেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র ও সংবিধানবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করেছেন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন, একটি টেকসই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার করেছেন। মূলতঃ চারটি কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির প্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
প্রথমত, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি'র রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা। বিএনপি বলে আসছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই তাদের ক্ষমতায় আসার একমাত্র পথ। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের সকল রাজনৈতিক কৌশল ও কার্যক্রম চলমান ছিল। তারা বলে আসছিল, আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা দলীয় সরকারের অধীনে তারা আর কোন নির্বাচনে যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি'র আন্দোলনের প্রতি সহায়ক কিংবা সহানুভূতিশীল কোন বক্তব্য নেই। এই নীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কোন স্বীকৃতি নেই। এছাড়া কিছুদিন পূর্বে আওয়ামী লীগের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের যে আলোচনা হয়েছিল সেখানে পিটার হাস সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।ফলে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি ভেস্তে গেল। বিএনপির নির্বাচনী কৌশল এবং তার আন্দোলন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের একটি বিপর্যয়।
দ্বিতীয়ত, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি দেশের মাঠের রাজনীতি ছেড়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়েছিল। দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজনীতির মাঠ ছেড়ে শুধুমাত্র বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিদেশে পাচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে লবিস্টদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খরচ করেছিল। রাজনীতির মাঠ ছেড়ে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। তাদের রাজনীতির ধরণ ও কৌশল এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল যে, কিছু মানুষ মনে করেছিল কয়েকজন রাষ্ট্রদূত তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। গত কয়েক বছর তারা প্রচার করে আসছিলো যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়ে সরকারকে বিপর্যস্ত করে তারা ক্ষমতায় আসবে। তাদের এত দিনের রাজনীতির অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল 'স্যাংশন'। সাম্প্রতিককালে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত তাদের তথ্য সন্ত্রাসীরা স্যাংশন নিয়েই মাতামাতি করছিল। তাদের নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ সব পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্যাংশনের ওপরেই বার বার জোড় দিচ্ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, স্যাংশন এসে সব উলট পালট করে দেবে। কিন্তু স্যাংশন আসলো না। তার পরিবর্তে যা আসলো তাতে তারা নিজেরাই বিপদে পড়ল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির মূল বক্তব্যই হচ্ছে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এটি বিএনপির জন্য একটি বড় বাধা কারণ তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায়।
তৃতীয়ত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিএনপি বলে আসছিল যে, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে তারা যাবে না। তাদের নেতারা সব বক্তৃতা বিবৃতিতে এটা বলে আসছিল, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচন তারা হতে দেবে না। এই নির্বাচন তারা যেকোনো মূল্যেই প্রতিহত করবে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে তারা এদেশে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়- এটিই ছিল তাদের শেষ কথা। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি অনুযায়ী নির্বাচন প্রতিহত করার যে কোন কার্যকলাপ বিধি-নিষেধের আওতায় পড়ছে। এর ফলে নির্বাচন প্রতিহত করার বিএনপি'র কোন উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ধরনের সহায়তা পাবে না। অন্যদিকে, বিএনপি কিংবা অন্য কোনো শক্তির বাংলাদেশে নির্বাচন প্রতিরোধ করার কোনো উদ্যোগকে পশ্চিমা বিশ্ব সহায়তা করবে না -এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল। এক কথায় বলতে গেলে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন প্রতিরোধ করার বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল।
চতুর্থত, গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি এবং সুশীল সমাজের কিছু লোক এটি বলে আসছিল যে, বাংলাদেশে বিএনপি নির্বাচনে না আসলে এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক হবে না। পশ্চিমা বিশ্বের কিছু কিছু দেশও এই প্রোপাগান্ডার কারণে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করতো। এর কারণে বিএনপি প্রায়ই নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা বলেছিল, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে সে নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না কারণ এই নির্বাচন 'অংশগ্রহণমূলক' হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির ফলে বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিম বিশ্বের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না- এই ধরনের কোনো বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে নেই। বিএনপি নিজে থেকে নির্বাচন বর্জন করলে এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না- এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির ফলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো সমর্থন তারা পাবে না- এটি পরিষ্কার। মোটা দাগে বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল। পাশাপাশি শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না, বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যাবে- এরকম অপপ্রচার যারা করছিল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য শেখ হাসিনার ভাগ্যের সঙ্গে জড়িত’
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির বিশ্ব জয়ের সারথি: ইন্দিরা
- অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
- ‘দেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে’
- লালমনিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
- বাংলাদেশে হালাল মাংস রপ্তানি করতে আগ্রহী মেক্সিকো
- মায়ের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করলেন সজিব ওয়াজেদ জয়
- প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি
- আমাদের এখনই রোবট তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে: পলক
- লঘুচাপে বাড়বে বৃষ্টি, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
- শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বে প্রশংসিত: আইনমন্ত্রী
- সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
- রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়াম
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে লালমনিরহাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
- শোষণের নীলে সম্ভাবনার হাতছানি
- রাজিবপুরে বিদেশি মদসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
- শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাঙালি পারে: আইনমন্ত্রী
- দেশের মানুষ নৌকার সঙ্গেই থাকবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে চড়ে ক্ষমতায় আসতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে চলমান অগ্রযাত্রায় শামিল হতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- সাজা মাথায় নিয়ে লুকিয়ে ‘পেয়ারা চাষ’ করতেন তিনি
- ক্রিকেট বিশ্বকাপে হরদীপ হত্যার বদলা নেয়ার হুমকি খালিস্তানি নেতার
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের দায় ক্যাপ্টেনের: সাকিব
- অভিনেতা ঠোঁট স্পর্শ করতেই বমি করে দেন রাবিনা
- জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করার গুরুত্ব ও সওয়াব
- দেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু টিকার ‘সফল’ গবেষণা
- বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীবান্ধব: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- গরম কি আরো বাড়বে, যা বলছে আবহাওয়া অফিস
- ভিসানীতি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩’ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন
- মহাকাশে ঢাকার সঙ্গী হচ্ছে প্যারিস
- রোমানিয়াজুড়ে `জীবন্ত পাথর`, বছর বছর বাড়ে আকার
- কলাপাড়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ
- প্রিন্স হ্যারির জন্মে ‘হতাশ’ হয়েছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস
- ‘সুরের ধারা এদেশের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক’
- আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা
- পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম বাজার উদ্বোধন আজ
- শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমী জামালপুর বিল পাস
- লালমনিরহাটে নিখোঁজের দুইদিন পর তিস্তার চরে মিলল যুবকের মরদেহ
- ঠাকুরগাঁওয়ে ডিসেমিনেশন সেমিনার অনুষ্ঠিত
- বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে সাধুবাদ জানাবো: ইসি আনিছুর
- ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ
- গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু
- প্রধান বিচারপতির শেষ বিচারিক কর্মদিবস আজ
- ৪ মাস আগে পালিয়ে বিয়ে, শ্বশুরবাড়িতে মিলল কলেজছাত্রীর মরদেহ
- ১৫ আগস্ট না হলে বিএনপির সৃষ্টি হতো না: আমির হোসেন আমু
- এ মাসেই উৎপাদনে যাবে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্য, বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করলো যুক্তরাজ্য
- ধূমপান দিয়ে মাদকাসক্তির শুরু হয়: সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী