সত্যের সাধক এম এ ওয়াজেদ মিয়া

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম সুধা মিয়া। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। ১৯৫৮ সালে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী সরকারি কলেজে।
১৯৬০ সালে এই কলেজ থেকে তিনি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে। ১৯৬১ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে এমএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। ১৯৬১-৬৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিতে সম্মানিত হন। তাঁর গবেষণা-অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল হাই এনার্জি নিউক্লিয়ার ফিজিকস; গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন সেকালের বিখ্যাত পদার্থবিদ অধ্যাপক ই জে স্কয়ারস।
১৯৬৭ সালে ওয়াজেদ মিয়ার জীবনে নবতর অধ্যায়ের সূচনা হয়। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। এ সময়টি আমাদের জাতীয় জীবনেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান সরকারের আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে।
ওয়াজেদ মিয়া মেধাবী ছাত্র হয়েও রাজনীতিসংলগ্ন ছিলেন। তৎকালীন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীই শুধু ছিলেন না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হলের নির্বাচিত সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।
ওয়াজেদ মিয়ার কর্মজীবন শুরু হয় পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের ঢাকা কেন্দ্রে যোগদানের মাধ্যমে (১ এপ্রিল ১৯৬১)। কমিশনে নিয়োজিত থাকাকালেই তিনি ইতালিতে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক আবদুস সালামের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল ফিজিকস থেকে ফেলোশিপ লাভ করেন। ইতালিবাস তাঁর বিজ্ঞানীজীবনের এক অনন্য অর্জন। এর ফলে তিনি বিশ্ববিখ্যাত অনেক বিজ্ঞানীর সঙ্গে গবেষণার ও মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ পান, যা তাঁর বৈজ্ঞানিক চেতনাকে অধিকতর শাণিত ও সমৃদ্ধ করেছে।
গবেষণাবৃত্তি শেষ করে ১৯৬৯ সালে ওয়াজেদ মিয়া দেশে ফিরে তাঁর কর্মস্থল পরমাণু কমিশনে যোগ দেন। স্বাধীনতা-উত্তরকালে আরো বৃহত্তর পরিসরে গবেষণার সুযোগ হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি গবেষণা করেন ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের নতুন দিল্লির গবেষণাগারে। এরই মধ্যে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। পরাজিত শক্তির এ দেশীয় দোসরদের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এ হৃদয়বিদারক ঘটনায় দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্ববাসীও স্তব্ধ হয়ে পড়ে। অভিঘাত অবশ্যই ওয়াজেদ মিয়াকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। কিন্তু তিনি কর্তব্য ভোলেননি, দেশে ফিরে আসেন ও কর্মস্থলে যোগদান করেন। ক্রমান্বয়ে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর কর্মজীবন সমাপ্ত করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জামাতা কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবে তিনি জীবনে কোনো অতিরিক্ত সুযোগ গ্রহণ করেননি।
তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার ইউটোপিকজগতে পরিভ্রমণে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাস্তবতাসচেতন। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্তঃসম্পর্কে তাঁর ছিল গভীর কৌতূহল ও অনুরাগ।
তিনি কখনো রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে চাননি।
রাজনৈতিক ক্ষমতার বৃত্তে তিনি অবস্থান করেছেন ঠিকই, কিন্তু ক্ষমতার উত্তাপ কখনো তাঁকে স্পর্শ করেনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর ছিল ভিন্ন আবেগ, যা একান্তই তাঁর। ১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডি তাঁকে আবিষ্ট ও বেদনাক্ষত করেছে ঠিকই, কিন্তু নিজের কর্তব্য তিনি সঠিকভাবেই পালন করেছেন। সেই চরম দুঃসময়ে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মূর্তিমান সান্ত্বনা ও পরম আশ্রয়।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মেয়েদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া সহজ নয়। এ জন্য প্রয়োজন হয় পারিবারিক বিশেষ সহযোগিতা। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন উদার ও নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে মানুষের শক্তি ও সামর্থ্যে আস্থাশীল।
ড. ওয়াজেদ মিয়া আমাদের ইতিহাসের অংশ। তাঁর দেশহিতৈষী মানবপ্রেমই তাঁকে স্মরণে রাখবে। তাঁর মতো নির্লোভ, নিভৃতচারী, নিরহংকারী, উদার ও বিজ্ঞানবোধ পরিস্নাত মানুষ দেশ, জাতি ও বিশ্বের কল্যাণ আনে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
লেখক : সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- মাদক মামলায় যুবদল নেতা গ্রেফতার
- কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তা ‘ঘুষের’ টাকাসহ আটক
- ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে রংপুরে হাইটেক পার্কের কাজ
- পরিমাণে লিচু কম দেওয়ায় জরিমানা
- স্কুলছাত্রকে গোবর খাইয়ে নির্যাতন : মামলা করে বিপদে পরিবার
- উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দিতে নির্দেশ
- মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
- আইসিটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় থাইল্যান্ড
- ঘোড়াঘাটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে ১ রোহিঙ্গা আটক
- টিসিবির মাধ্যমে জব্দ করা তেল বিক্রি হবে ১১০ টাকায়
- ভারতের ৮ কোম্পানি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে আগ্রহী: খাদ্যমন্ত্রী
- আরও ১৫ পাটকল বেসরকারি খাতে যাচ্ছে: পাটমন্ত্রী
- এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণ বাংলাদেশের: তাজুল ইসলাম
- `তিন বছরে আরও ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে`
- স্বপ্নের পদ্মাসেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে
- ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবে জাতিসংঘ
- প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তায় অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা: প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে পুলিশের অভিযানে ড্রেজার মেশিনসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ
- রৌমারীতে হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২
- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা
- অবৈধ মজুদদারদের ছাড় নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
- মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আ.লীগের কোনো বিকল্প নেই: হানিফ
- রংপুরে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২
- পদ্মাসেতু হওয়ায় মানুষ খুশি হলেও বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে: কাদের
- মুসলিম উম্মাহ’র ইতিহাসে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- `বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে`
- নারীদের যে তিন অভ্যাস পুরুষদের ভীষণ অপছন্দের
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: এলজিআরডিমন্ত্রী
- ছাত্রদলের কর্তৃত্ব নিয়ে বিভক্ত বিএনপি
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরো ৩০ জনের শনাক্ত, মৃত্যু নেই
- বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারে ২৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মনোনীত
- ইউরিয়া সার উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ
- জাল সনদধারী শিক্ষকদের ৪৬ কোটি টাকা উদ্ধার
- সৈয়দপুরে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবায় ডাবল সেঞ্চুরি
- করোনা সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় জাতীয় কমিটির ৬ পরামর্শ
- তারাগঞ্জে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
- `সারাদেশে নদীভাঙন রোধে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে`
- তারেক রহমানের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সংযোগ
- করোনায় মৃত্যু নেই, বেড়েছে শনাক্ত
- হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা গ্রহণের সনদ দেখাতে হবে
- কবি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
- জুনে ফের এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে
- আ`লীগ সব সময় ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে: প্রধানমন্ত্রী
- রংপুর চিড়িয়াখানায় আবারও ডিম দিয়েছে উটপাখি
- বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু: শেখ পরশ
- ‘আমাকে বুঝে উঠতে স্ত্রীর সময় লাগবে’
- মালদ্বীপে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা
- শূন্যকোটায় হজে যেতে ১০ মে’র মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে
- জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই: কৃষিমন্ত্রী