• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রক্তভেজা ১৫ই আগস্ট

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২১  

ব্যারিস্টার মিতি সানজানা   

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। একজন অবিসংবাদী নেতা। দেশের নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও স্বাধীনতা অর্জনে তিনি তাঁর জীবনের প্রায় ১৪টি বছর কাটিয়েছেন কারাগারের অন্ধকার সেলে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কোনো দমন-পীড়ন তাঁকে দমাতে পারেনি এতটুকুও। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক করুণ অধ্যায় রচিত হয়। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় এই দিনে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর মধ্যেই ছিল তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। মাত্র ৫৪ বছরের জীবনের এক-চতুর্থাংশ অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে কাটলেও এতটুকু বিচলিত হননি এই মহান নেতা। বঙ্গবন্ধুর এই মহান আত্মত্যাগে বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বাধীনতা। অথচ পথভ্রষ্ট কিছু বাঙালির হাতেই ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

শুধু তা-ই নয়, এই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক এক আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিচারকাজকে আদালতবহির্ভূত করার জন্য একটি অধ্যাদেশ বা আইন জারি করা হয়। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নম্বর ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে পঞ্চম সংশোধনী আইন ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়। বাংলাদেশের একজন আইনজীবী হিসেবে আমি লজ্জিত এই ভেবে যে আমার দেশে এমন একটি আইন তৈরি করা হয়েছিল, যা মানবসভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক সম্মোহনী ভাষণে বলেছিলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালোবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালোবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালোবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারব কি না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’

তাঁর প্রাণের সেই বাংলার মাটিতেই তিনি রক্তাক্ত হয়েছেন। যারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু আর তাঁর পরিবারকে হত্যার মাধ্যমে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে, তারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে রক্তাক্ত করেছে।

লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কলামিস্ট।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –