• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

হত্যাকারীদের রক্ষায় জিয়ার আশ্রয়ে ইনডেমনিটি বিল

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২১  

ফারাজী আজমল হোসেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে কলঙ্কমাখা দিন। যেই মানুষ এই দেশের জন্য নিজের জীবন দিতে পিছপা ছিলেন না, সেই মানুষকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের মূল চেতনাকে হত্যা করা হয়। আজ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৬ বছর পরও জাতি জানেনা বঙ্গবন্ধু হত্যার আসল কুশীলব কারা। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলেও তার হত্যার পরিকল্পনায় অংশ নেয়া মানুষদের অনেকে মৃত্যুর পরও পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় খেতাব। তেমনি একজন ব্যক্তির নাম জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যায় সবচাইতে লাভবান এই ব্যক্তিটির কারণে সংসদে পাস করা হয় ইনডেমনিটি বিল।

 জিয়াউর রহমানের থেকে পাওয়া ক্ষমতা বলেই এক সময় এই খুনিরা সরাসরি দেশের রাজনীতিতেও অংশ নেয়। বাংলাদেশকে উগ্র মৌলবাদী ভঙ্গুর এক রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে অনেক ভূমিকা রেখেছেন জিয়াউর রহমান। সময় এসেছে তার বিষয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার। সময় এসেছে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার। অন্যথায় নতুন প্রজন্ম এমন এক মানুষকে অনুসরণ করে শেষ পর্যন্ত ভুল পথে পা বাড়াবে। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সংসদে পাস করার সুযোগ না থাকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি একটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৬ সালের ২৯ এপ্রিল জিয়া রাষ্ট্রপতি সায়েমের কাছ থেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় এবং প্রহসনের হ্যাঁ-না ভোটে নিজে রাষ্ট্রপতি হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ, ঘোষণাকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনি বৈধতা দেয়া হয়। সংসদে উত্থাপিত আইনটির নাম ছিল সংবিধান (সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯। এটি সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদে সংযুক্ত হয়েছিলো, যা পঞ্চদশ সংশোধনীতে বিলুপ্ত হয়। পঞ্চম সংশোধনীকে বৈধতা না দিলে জিয়াউর রহমানের আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যেত। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা করেনি। মূলত, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষাকারী এবং এই হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল কুশীলবদেরই একজন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছিলেন দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বৈষম্য মুক্ত এক সমাজ ব্যবস্থা। কিন্তু পাকিস্তানি মৌলবাদী সর্বগ্রাসী চেতনা এবং দেশের কতিপয় মীরজাফরের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হন বাঙ্গালী জাতির এই মহানায়ক। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক সদ্য স্বাধীন পাওয়া দেশে বপন করা হয় ধর্মীও উগ্রতাবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বীজ। বাংলাদেশে বর্তমানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াত ইসলামকে রাজনীতির সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে নিজ হাতে সেই বীজকে চারা গাছে পরিণত করতে সরাসরি সহায়তা করেছেন জিয়াউর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছিলেন দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বৈষম্য মুক্ত এক সমাজ ব্যবস্থা। কিন্তু পাকিস্তানি মৌলবাদী সর্বগ্রাসী চেতনা এবং দেশের কতিপয় মীরজাফরের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হন বাঙ্গালী জাতির এই মহানায়ক। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক সদ্য স্বাধীন পাওয়া দেশে বপন করা হয় ধর্মীও উগ্রতাবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বীজ। বাংলাদেশে বর্তমানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াত ইসলামকে রাজনীতির সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে নিজ হাতে সেই বীজকে চারা গাছে পরিণত করতে সরাসরি সহায়তা করেছেন জিয়াউর রহমান।

বিক্রমাদিত্য (ছদ্ম নামে) লেখা 'কনফিডেনসিয়াল ডায়েরী' ১৯৮১ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয়। যেখানে বেশ স্পষ্ট করে তিনি লেখেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের কথা সে সময় বাংলাদেশে অনেকেই জানতেন। কিন্তু দায়িত্বরত অনেকেই বিষয়টিকে হেঁসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু যারা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলেন তাদের একজন ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্সের অত্যন্ত ধূর্ত এই অফিসারকে নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল যা পরিষ্কার করার জন্য পশ্চিমা শক্তিশালী এক রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত মুসলেহ উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজনকে ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে প্রেরণ করা হয় জিয়ার কাছে। পাকিস্তান সরকারের অধীনেও দেশি-বিদেশি ইন্টেলিজেন্স গুলোর সঙ্গে বেশ দৃঢ় সম্পর্ক ছিল জিয়াউর রহমানের। আর সে কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি তিনি জানতেন। কিন্তু এই সৈন্যদল যখন তাকে জানায়, 'ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য তারা কিছু করতে চায়' এর প্রতি উত্তরে জিয়া কৌশলী উত্তর দেন। তিনি বলেন, যদি তোমর কিছু করতে পারো, করে ফেলো। গো এহেড। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে তৎকালীন সময়ে তার মত দায়িত্বশীল একটি অবস্থান থেকে এই ছোট কয়েকটি শব্দ ষড়যন্ত্রকারীদের সাহস ও উদ্যোগকে শতভাগ বাড়িয়ে দেয়। কেননা বিদেশি কোন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে সরাসরি বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব ছিল না। আর সে কারণেই দেশের অভ্যন্তরে থাকা এই সৈনিকদের লোভ দেখিয়ে এবং হত্যা পরবর্তী সময় দেশের অভ্যন্তরের শক্তিগুলোর মাধ্যমে তারা কিভাবে রক্ষা পাবে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তারপর হামলা চালানো হয় ১৫ আগস্ট।

এখানে লেখকের দেয়া তথ্যে একটি বিষয় বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর তা হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত থাকার পরও জিয়া কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই হত্যাকাণ্ডে তার সমর্থন এবং সহায়তা থাকলেও সরাসরি নিজের নাম তিনি যুক্ত করতে চাননি। কেননা জিয়া জানতেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশের সময় হয়নি তার। বরং দুর্বল যেই নেতৃত্ব দেশের ক্ষমতা গ্রহণের জন্য বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা করে তারা ক্ষমতায় আসলে জিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন সহজ হবে। ৭৫ পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়ার ভূমিকা এই তথ্যগুলোর সপক্ষেই কথা বলে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার ও জাতীয় চার নেতা হত্যার ঘটনায় প্রথম অনুসন্ধান কমিশন গঠিত হয় যুক্তরাজ্যে ১৯৮০ সালে। তবে অনুসন্ধানের কাজে এ কমিশনকে বাংলাদেশে ভিসা দেয়নি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় থাকা জিয়াউর রহমান। বরং তিনি প্রত্যক্ষভাবে এই হত্যাকারীদের সহায়তা করেছেন। জাতির পিতাকে হত্যার আগে সেনাবাহিনীর কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীদের যেই কথা দিয়েছিলেন তিনি। তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রক্ষা করেছেন জিয়াউর রহমান। তাদের জন্য ইনডিমিটি বিল পাস করেছেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করেছেন এবং বিদেশি কোন তদন্ত কমিশনকে এ বিষয়ে তদন্তের কোন সুযোগ প্রদান করেননি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তৎকালীন সময় জিয়াউর রহমান অভিব্যক্তি বর্ণনা করতে গিয়ে তৎকালীন সময়ে ঢাকা সেনানিবাসে লেফট্যানেন্ট কর্নেল আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, "জেনারেল জিয়া একদিকে শেভ করছেন একদিকে শেভ করে নাই। স্লিপিং স্যুটে দৌড়ে আসলেন। শাফায়াতকে জিজ্ঞেস করলেন, 'শাফায়াত কী হয়েছে?' শাফায়াত বললেন, 'অ্যাপারেন্টলি দুই ব্যাটালিয়ন স্টেজড্ এ ক্যু। বাইরে কী হয়েছে এখনো আমরা কিছু জানি না। রেডিওতে অ্যানাউন্সমেন্ট শুনতেছি প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন।' তখন জেনারেল জিয়া বললেন, 'সো হোয়াট? লেট ভাইস প্রেসিডেন্ট টেক ওভার। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ পলিটিক্স।"

কিন্তু এই জিয়াউর রহমানে তার কয়েক বছর পরেই নিজ হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের সে সময় সংসদে গ্রহণ করা সকল সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের মত হত্যাকারীদের রক্ষা করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করা কলঙ্কজনক 'ইনডেমনিটি বিল' সংসদে পাস করার জিয়া। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় হত্যাকারীদের বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে চাকরি এবং তাঁদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড এবং দেশের ভেতরে অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী গোষ্ঠীর ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। পঁচাত্তরের নভেম্বরের মধ্যভাগ থেকে তাঁরা কর্নেল গাদ্দাফির লিবিয়ায় বসবাস করতেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁদের কূটনীতিকের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা হলেন: ১. লে. কর্নেল শরিফুল হককে (ডালিম) চীনে প্রথম সচিব, ২. লে. কর্নেল আজিজ পাশাকে আর্জেন্টিনায় প্রথম সচিব, ৩. মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজেরিয়ায় প্রথম সচিব, ৪. মেজর বজলুল হুদাকে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সচিব, ৫. মেজর শাহরিয়ার রশিদকে ইন্দোনেশিয়ায় দ্বিতীয় সচিব, ৬. মেজর রাশেদ চৌধুরীকে সৌদি আরবে দ্বিতীয় সচিব, ৭. মেজর নূর চৌধুরীকে ইরানে দ্বিতীয় সচিব, ৮. মেজর শরিফুল হোসেনকে কুয়েতে দ্বিতীয় সচিব, ৯. ক্যাপ্টেন কিসমত হাশেমকে আবুধাবিতে তৃতীয় সচিব, ১০. লে. খায়রুজ্জামানকে মিসরে তৃতীয় সচিব, ১১. লে. নাজমুল হোসেনকে কানাডায় তৃতীয় সচিব, ১২. লে. আবদুল মাজেদকে সেনেগালে তৃতীয় সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের নিয়োগপত্র ঢাকা থেকে লিবিয়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্মকর্তা ও পরবর্তীকালে পররাষ্ট্র সচিব সমশের মবিন চৌধুরী।

১৯৭৬ সালে তাদের নিয়োগ দেয়া হলেও জিয়ার শাসনামলেও তাদের সপদে বহাল রাখা হয়। তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পায় এই খুনি ও তাদের পরিবার। যেই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিলেন, সেই জিয়াউর রহমানকেই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করে এই খুনিরা। জিয়াউর রহমানের থেকে পাওয়া ক্ষমতা বলেই এক সময় এই খুনিরা সরাসরি দেশের রাজনীতিতেও অংশ নেয়। বাংলাদেশকে উগ্র মৌলবাদী ভঙ্গুর এক রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে অনেক ভূমিকা রেখেছেন জিয়াউর রহমান। সময় এসেছে তার বিষয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার। সময় এসেছে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার। অন্যথায় নতুন প্রজন্ম এমন এক মানুষকে অনুসরণ করে শেষ পর্যন্ত ভুল পথে পা বাড়াবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –