• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

‘কোনও অপশক্তি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করতে পারবে না’ 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

কোনও অপশক্তি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিরাজমান সুদৃঢ় ও সুসম্পর্ককে নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করতে সবসময়ই অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে তারা সফল হবে না।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী নগরীর নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় বাংলাদেশ- ভারত ৫ম সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক শক্তি, বাঙালি চেতনার শক্তি, ধর্মীয় নিরপেক্ষতার যে শক্তি রয়েছে, এটিকে ও ভারতের এরকম অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে। এ বিষয়ে উভয় দেশের সম্পর্ক জোরদার করতে হবে যাতে অপশক্তি সফল না হয়। সম্পর্ককে আরও গভীর করে দুই দেশকে এক সঙ্গে বিকশিত হতে হবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। দুটি পৃথক রাষ্ট্র হলেও এ অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জলবায়ু, ভূপ্রকৃতি, খাবার, মানুষের আবেগ ও জীবনাচরণসহ অনেক বিষয়ে অসাধারণ মিল ও সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই, দুদেশের সীমানাপ্রাচীর মানুষের মেলবন্ধনের বাধা হতে পারে না। সীমানা বা বর্ডার আজ বাস্তবতা, কিন্তু এটি অন্য সব কিছুর উপরে স্থান পেতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও ঘনিষ্ঠ করবে। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধনকে আরও গভীর করবে বলে আমি আশা করি। শুধু সাংস্কৃতিক নয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ককেও শক্তিশালী করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মিলনমেলার আহ্বায়ক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল বক্তব্য রাখেন। ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক সামছুল আরেফীন, ভারতের সত্যম রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ- ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার রাজ্য থেকে ৪০ জন অতিথি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় অতিথিদেরকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –