বিএনপি চায় অনির্বাচিত সরকার: কামরুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা দেখেছি। তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর থেকেছে। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। এরা (বিএনপি) চায় অনির্বাচিত সরকার। এরশাদ-জিয়ার মতো পরিবর্তন। তেমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তারা (বিএনপি)। সংবিধান সংশোধন করতে চায়, ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য। এরা (বিএনপি) সংবিধান, আইন, আদালত কিছুই মানে না।

বৃহস্পতিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক পন্থায় ২০০১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধুমাত্র আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আজ তারা (বিএনপি) বলে, ক্ষমতা ছেড়ে যেতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এটাই তো সংবিধানের কথা, এর বাইরে তো কোনো সুযোগ নেই। আজ তারা (বিএনপি) বলছে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচন করতে দেবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো একটি ডেড ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে আসার আর কোনো প্রশ্নই ওঠে না, সংবিধানে নেই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, তার বক্তব্য বিএনপি ফেসবুক, ইউটিউব সবখানে প্রচার করছে। যেখানে আমাদের মিডিয়াগুলো সেটা প্রচার করছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায়। একজন পলাতক আসামির বক্তব্য-বিবৃতি এভাবে প্রচার করবে, এটি কোনো অবস্থায় যৌক্তিক নয়। আমরা তো সভ্য জগতে বাস করছি।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।