• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা     

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৩  

 
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর থেকেই সরকারের অনুকম্পায় কারাগারের বাইরে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারণে তারা দুজনই এখন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। এসব কারণে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত বিএনপি। আর খালেদা জিয়ার পর নিশ্চিতভাবেই গভীর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে দলটি।

তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।

জানা যায়, তার সাজা স্থগিতের বিনিময়ে শর্ত দেওয়া হয় যে, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়া ঢাকায় নিজের বাসায় থাকবেন এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হওয়ার পর বিএনপিকে দুর্নীতিবাজদের দল হিসেবেও আখ্যা দিয়েছিলেন দেশের মানুষ। এরপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও খুনিদের দল বলে মনে করেন দেশবাসী।

বিএনপি আমলে পত্রিকা খুললেই দেখা যেত নানা দুর্নীতির খবর। দুর্নীতির এই সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রিত হতো খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন থেকে। সেই সময় ক্ষমতায় থাকা পদস্থ কর্মকর্তারা দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের ঐ টাকার ভাগ নিতেন। খালেদা জিয়া, তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে খুব বাজেভাবে পরিচিতি পেতে হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা, এতে বহু বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।

বিএনপির এখনকার নেতৃত্বের শীর্ষে আছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আর দুজনেই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যে কারণে তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। 

বলা যায়, এ কারণে আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং সরকার উৎখাতে তারা রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিকল্প নেই। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব সেই পথে হাঁটতে অনীহা প্রকাশ করছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –