বিদেশি শক্তির সাহায্যে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি

বাংলাদেশের কয়েকজন র‌্যাব কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে বিএনপি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনীতিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের সাহায্যে ক্ষমতায় আসার চেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি এ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড করেছে।

বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, বিদেশে থাকা বিএনপির কয়েকজন নেতা এবং বুদ্ধিজীবী-সমর্থক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছেন।

টানা তিনবার সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে বিএনপিকে জনগণ বর্জন করেছে। বিএনপির কোনো আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। ফলে দেশের ভেতরে সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বিদেশি শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থায়নে কয়েকজন ব্লগার এবং কথিত সাংবাদিক ক্রমাগত দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। সর্বশেষ আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পেছনে বিএনপির অর্থায়নে রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির হাত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, বিএনপির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও দেশটি পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। সেদিক থেকে রাজাকারদের আশ্রয়দাতা বিএনপির সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে আমি অবাক নই। বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াক সেটা বিশ্বের অনেক দেশই চায় না। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে না পেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঁতাত করেছে, যা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় স্পষ্ট হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার ইতিহাস বিএনপির নতুন নয়। জন্ম থেকে দলটির প্রতি জনগণের আস্থা নেই। এর আগে ২০০১ সালে দেশের গ্যাস আমেরিকান কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার শর্তে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এবার তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বাইরে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তারই অংশ।

তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। আর যারা ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশিদের কাছে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয় তাদের দেশের জনগণ মেনে নেবে না।