• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

স্লো-পয়জনিংয়ে দলকে ধ্বংস করেছেন যে বিএনপি নেতারা 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ব্যর্থতার শেষ নেই। ২০১৩ সাল থেকে একের পর এক আন্দোলন করেও জনসমর্থন অর্জন করতে ব্যর্থ দলটি। এর ফলে সকল আন্দোলনে পরাজিত হয় বিএনপি।

এখনো কোনো মতে টিকে আছে দলটি। বলা চলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু একসময় যে দলটির হাজার হাজার কর্মী ছিল, সেই দলটি কীভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছালো এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিশ্লেষণ। এর জন্য বিএনপির বিশ্বস্ত নেতাদেরকেই দায়ী করেন অনেকে।

স্লো পয়জনের মাধ্যমে বিএনপিকে ধ্বংস করেছেন এমন কয়েকজন বিএনপি নেতা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন-

তারেক রহমান: বিএনপিকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে ধ্বংস করার মূল কারিগর হলেন দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।তিনি  ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালান। এছাড়াও তিনি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। হাওয়া ভবনের কারিগর তারেক সব সরকারি কাজে ১০ শতাংশ ঘুষ নিতেন। মূলত তার কর্মকাণ্ডের কারণেই বিএনপি দেশে আজ নিষ্ক্রিয় দলে পরিণত হয়েছে।

এমাজউদ্দিন আহমদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ বিএনপির প্রধান বুদ্ধিজীবী ছিলেন। বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে দল পরিচালনার জন্য বুদ্ধি দিতেন তিনি। এই বুদ্ধিজীবী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জোর করে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। এছাড়া রাজাকার-আলবদর জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের মূল কারিগর তিনি। যার ফলে বিশ্ব দরবারে বিএনপিকে আজ সবাই জঙ্গিবাদের মদদদাতা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চেনে।

ইয়াজউদ্দিন আহমেদ: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ নেন প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। একটি সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে পুনরায় বিজয়ী করতে রাষ্ট্রপতি থেকেই তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন। এই ঘটনার ফলে দেশের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়লে জরুরি আইন জারি করে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ছেড়ে দেন।

মাহমুদুর রহমান: আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার দায়ে সাজা প্রদান করেছে। ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় মাহমুদুর রহমান ব্লগারদের লেখা বিকৃত করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানেন। এসবের ফলে অনেক ব্লগারকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এছাড়া মৌলবাদী শক্তি হেফাজতের তাণ্ডবের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে দেশে আগুন-সন্ত্রাস এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সাহায্য করেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –