• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বিএনপি’র হাতে ধরেই দেশে ধর্মের নামে বিভেদ-দ্বন্দ্ব শুরু

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২১  

বিএনপিতে কখনোই সংখ্যালঘুদেরকে ভাল চোখে দেখা হয় না। এর অন্যতম উদাহরণ হলো গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সংখ্যালঘু হওয়ায় বিএনপির সম্ভাব্য মহাসচিবের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম নেই।

দলের বড় একটি অংশ মনে করে, এ মুহূর্তে বিএনপির রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিটি হল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি যে বক্তব্য রাখছেন বা কথাবার্তা বলছেন সেগুলোই বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রাণের কথা।

বিএনপির প্রতিটি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিরোধিতা করেছিলেন। সুচিন্তিত এবং সত্যিকারের রাজনৈতিক নেতাসুলভ পরামর্শ দেন সব সময়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির ভুল সিদ্ধান্ত বলে দলের অনেকেই মনে করেন। সে সময় গয়েশ্বর নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপিকে বলেছিলেন, কিন্তু হিন্দু হওয়ায় তার কথার মূল্যায়ন করেনি বিএনপি।

এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিরোধিতা করেন গয়েশ্বর। কিন্তু সে সময়ও তার কথার গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঘুমিয়ে দিন পার করলেও গয়েশ্বর বলেন আন্দোলনের কথা। তাই দলে অনেকের চেয়েও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা হলেও শুধু জাতিতে হিন্দু হওয়ায় তার কথায় কেউ মূল্যায়ন করছে না।

তবে গয়েশ্বর চন্দ্রের যোগ্যতা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবগত রয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, দলের মহাসচিব পদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় গয়েশ্বর কেন উপেক্ষিত। তাকে মহাসচিব করার কোনই কী চিন্তা-ভাবনাই নেই বিএনপির নীতিনির্ধারকদের? 

তবে এর একটাই উত্তর, তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর বিএনপিতে কখনোই সংখ্যালঘুদেরকে ভাল চোখে দেখা হয় না।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –