• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

গুরুতর অভিযোগে শোকজ দিয়েও নেতাদের প্রতি নমনীয় বিএনপি

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১  

বিভিন্ন মহলে একটি কথা প্রচলিত যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপির দলীয় চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। আর দলীয় প্রধানের অসুস্থতা, দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে তারেক রহমানের বিদেশে থেকে একটি অংশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কমিটি দেওয়া এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে টাকা কিংবা বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়াও কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে।

এছাড়াও দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে নানা কটু বক্তব্য প্রদান ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে নিজের ধরনে মাঠ গরম করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। ‘শোকজ খাওয়া’ এসব নেতাদের নিয়ে বিএনপির নমনীয় আচরণের ফলে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বত্র শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

বিশেষ করে মির্জা আব্বাস, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের ব্যাপারে বিএনপির নমনীয়তা যথেষ্টই দৃষ্টিকটু। তাদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, বিএনপির দলীয় ফোরামে কথা উঠছে যে, এই নেতারা কি এতটাই ক্ষমতাশালী, নাকি বিএনপির চেইন অব কমান্ড দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোনো ক্ষমতা নেই?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, তারা যে ধরনের কার্যক্রম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল, যাতে করে অন্য কেউ এ ধরনের কাজ করতে না পারে। কিন্তু তা না করে তাদের বিষয়ে দলের নমনীয় অবস্থান তৃণমূল কর্মীদের হতাশ করেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মির্জা আব্বাস বিএনপির একটি খুঁটি। তিনি দলের একজন বড় ডোনারও। তাই শত অন্যায় করলেও বিএনপি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না।

বিএনপির সাংবাদিক নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিত শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে গণমাধ্যমে বিএনপির মিডিয়া কভারেজ একেবারেই কমে যাবে।

অন্যদিকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, কারণ বিএনপিতে তার গুরুত্ব অন্যরকম। তাকে বাদ দিলে দলের লবিংয়ে বিশাল সমস্যা হবে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শীর্ষ দুই নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। তারা চিন্তাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লেজেগোবরে বিএনপি দিন দিন আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকেই ধাবিত হচ্ছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –