• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

খালেদার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল বিএনপি 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১  

দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।
এ বৈঠকে পেশাজীবী নেতারা এক দফার দাবিতে কর্মসূচি দিলে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। 

তবে তাদের কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয় ছিল না। পেশাজীবী সংগঠনগুলোর দাবি ছিল, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি কি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছে?

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবাসে যাওয়ার সময় দলের নেতারা হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে তারা খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করবেন। তবে দুর্বল নেতৃত্বের কারণে আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে কিছুই করতে না পেরে শেষমেশ সরকারের অনুকম্পায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে সরকারি হেফাজতে গুলশানের বাসায় ওঠেন খালেদা জিয়া।

মূলত রাজনীতির সঙ্গে বিগত তিন বছর ধরে কোনো সম্পর্ক নেই তার। কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতারা প্রেস কনফারেন্সে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার হুংকার দিতেন। গুলশানের বাসায় থাকার পরও এখন পর্যন্ত বিএনপির এক দফা দাবি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি। কিন্তু অবশেষে ব্যর্থ হয়ে কিংবা ষড়যন্ত্রের অংশ স্বরূপ বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুধু বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক হয়নি। সেই বৈঠকে স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে অংশ নিয়েছিলেন তারেক রহমান। জেনে রাখা প্রয়োজন, তারেক রহমানের কাছে খালেদা জিয়ার বাঁচা-মরা খুব একটা গুরুত্ববহন করে না। তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্ষমতা। আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তিকে গৌণ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির আন্দোলনকে মুখ্য করতে চান তিনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন নীতিনির্ধারক বলেন, এটা সত্য যে দিন দিন দলে খালেদা জিয়ার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। এর ফলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ইচ্ছাকৃতভাবে বা সুপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়ার অস্তিত্ব বিএনপি থেকে বিলীন করা হচ্ছে। তবে এক দফা দাবিতে খালেদা জিয়া নেই বলে এই নয় যে আমারা নেত্রীকে হৃদয়ে ধারণ করি না। এ মুহূর্তে মূল দাবি হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের। নতুবা ২০২৩ সালের নির্বাচনে হরে গেলে বিএনপির অস্তিত্ব মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –