• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

করোনার প্রকোপ কমলেও কর্মসূচিতে নেই বিএনপির অধিকাংশ নেতা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার পরও দলীয় কর্মসূচিতে দেখা মিলছে না বিএনপির অধিকাংশ নেতার। এমনকি দলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। বাড়িতে শুয়ে-বসেই দিন কাটছে অনেকের।

বিএনপির নেতারা বলছেন, লকডাউনের সময় ঘরে বসে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে হতাশ হয়ে তারা আপাতত নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন।

তারা আরো জানান, দলের মহাসচিবের সঙ্গে দূরত্বের কারণে ও দলের কর্মসূচির বিষয়ে দ্বিমত থাকায় অনেক নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। দলের বড় একটি অংশ মহাসচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে দলীয় কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মাহাবুবুর রহমান দীর্ঘদিন দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত। নানা বিষয়েই তার সঙ্গে দলের মতপার্থক্য রয়েছে। তারপরও দলের মহাসচিব তার নিকট-আত্মীয় হবার কারণে তিনি কিছুদিন সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সবকিছু থেকেই তিনি আড়ালে রয়েছেন।

কদিন আগ পর্যন্তও সরব ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে দলের অধিকাংশ কর্মসূচিতে তিনি অনুপস্থিত। দলের মধ্যে কান পাতলেই শোনা যায় যে, মহাসচিবের সঙ্গে তার বিরোধ এখন প্রকাশ্য। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন লকডাউনের সময় আন্দোলন করতে চেয়েছিলেন। এতে সায় দেননি ফখরুল। বিভিন্ন জনের কাছে তিনি মির্জা ফখরুলকে অশালীন ভাষায় গালাগালিও করেছেন। সেই লকডাউনের সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফখরুল মহাসচিবের পদ ছাড়লেই তিনি সক্রিয় হবেন।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে সরব নন। দীর্ঘ এক বছর তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে এ সময়ে বিএনপির কোনো নেতাই তার খবর নেননি। এই ঘটনায় তিনি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছেন। অভিমানেই তিনি নিজেকে আড়াল করেছেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা।

বিএনপি মহাসচিব যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার সবগুলোরই বিপক্ষে ছিলেন। ড. কামালদের সঙ্গে ঐক্যকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছিলেন ‘শয়তানের সঙ্গে ঐক্য’। নির্বাচনের ব্যাপারেও তার অবস্থান ছিল নেতিবাচক। তারপরও নির্বাচন করেন। তবে এখন তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডে থাকছেন না।

তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষুব্ধ গয়েশ্বর নিজেকে দল থেকে দুই বছর যাবৎ দূরে সরিয়ে রেখেছেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –