তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত আলু ক্ষেত
লালমনিরহাটসহ উত্তরের জেলাগুলোতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ফলে এ অঞ্চলে আলু খেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ। যাকে স্থানীয় ভাবে কৃষকরা মড়ক বলেন। ছত্রাকজনিত এ রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় একদিকে ফলন নিয়ে যেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে তেমনি অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়া ও দাম ভালো থাকায় অপরিপক্ক আলু তুলে ফেলছেন কৃষক। এসব কারণে চলতি বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কৃষকদের দাবী কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না, গাছ মরে যাচ্ছে।
সড়ে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, পশ্চিমা বাতাসে আলুর লেট ব্লাইট বা মড়ক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় পচে যেতে শুরু করেছে আলু গাছের পাতা। ছত্রাকনাশক স্প্রে করে আলুর ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছেন কৃষক। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বাড়বে উৎপাদন খরচ আর এতে ন্যায্যমূল্য না পেলে সর্বশান্ত হবে কৃষক। কৃষকদের দাবি, উৎপাদন খরচ বাড়ায় বাজারে যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন।
জেলায় এ বছর ৬ হাজার ৪শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে লেট ব্লাইট রোগের দেখা দেয়ায় এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
ফসলের রোগতত্ত্ববিদরা জানান, লেট ব্লাইটে আক্রান্ত হলে প্রথমে আলুর পাতা ঝলসে যায় এবং ধীরে ধীরে গাছ মরে যায়। সাধারণত তিনদিন টানা সূর্যালোক দেখা না গেলে ও ঘন কুয়াশায় আলুখেতে রোগটি দেখা দেয়। আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণেও হতে পারে। মূলত এ সময় পাতা ভেজা থাকায় মড়ক ছড়িয়ে পড়ে। চলতি মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আলু রোপণ করেন কৃষক। এর মধ্যে আগাম জাতের আবাদ হয় নভেম্বরে। অনেকে অক্টোবরের মাঝামাঝিতেও আবাদ করেন। এ আলু ৬৫-৭৫ দিনে পরিণত হয়। ডিসেম্বরের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে রোপণ করা হয় মূল মৌসুমের আলু। সাধারণত সবজিটি পরিণত হতে সময় লাগে ৯০ দিন। সে হিসেবে মূল মৌসুমের আলুর বয়স এখন ৪০-৪৫ দিনের মতো।
তবে কৃষকদের দাবী, মড়কের কারণে আলু গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। হলুদ হয়ে যাচ্ছে পাতা ও কাণ্ড। ফসল বাঁচাতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষক। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। অনেকেই বাধ্য হয়ে অপরিপক্ক আলু তুলে বিক্রি করছে।
কৃষি অফিস বলছে, অনুমোদিত কীটনাশক ছিটিয়ে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে সহসাই কাটছে না এমন বৈরি আবহাওয়া।
আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর এলাকার মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘মড়কের কারণে বহু ট্রিটমেন্ট করতেছি। ওষুধ ছিটাচ্ছি, কোনো কাজ হচ্ছে না। এত টাকাপয়সা খরচ করে ওষুধ দিচ্ছি। এখন যদি রোগ না সারে তাহলে আমি তো শেষ হয়ে যাব। আবার শুনতেছি কয়েক দিনের মধ্যে আবহাওয়া আরো খারাপ হবে।’
আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘আগামীতে শীতের তীব্রতা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা কমে গেলে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। উত্তর অঞ্চলে গত এক দশকের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা বেশি কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলায় দুপুর ১২টায় সূর্যের মুখ দেখা যায়। আবার বিকালের পর পরই সূর্য ডুবে যায়। এ কারণে জমিতে ভালো আলো না পড়ায় ফসল রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। যদিও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত না হলে আর আবহাওয়া অনুকূল থাকলে শেষ পর্যন্ত ফলন বেড়ে যেতে পারে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দা সিফাত জাহান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আলুখেত লেট ব্লাইট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগ প্রতিরোধের জন্য শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার সময় নির্দিষ্ট মাত্রায় ছত্রাকনাশক ছিটানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই আলু কৃষকের ঘরে উঠবে। আবহাওয়াও স্বাভাবিক হবে। তাই লেট ব্লাইট রোগের বর্তমান পরিস্থিতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব ফেলবে না বলে দাবী তার।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত
- সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষেঃ আলোচনায় বসবে সরকার
- শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান
- পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক
- মেসির ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে চাকরিচ্যুত দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা
- সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিচের গ্রেডে জনবল ঘাটতি, শীর্ষে অতিরিক্ত
- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- উর্বশীর ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে আলোচনা
- রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
- জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে রাজাকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেফতার
- ঢাকায় ১৪ প্লাটুন আনসার মোতায়েন
- আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্র করছে: ডিবিপ্রধান
- সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর
- পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন জহুরুল
- রংপুরসহ ৬ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
- কোটা এখন রাজনৈতিক আন্দোলন হয়ে গেছে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- তথ্য অধিকার আইনে ৮ অভিযোগের নিষ্পত্তি
- ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ সোনার বাংলাদেশ হবে: স্পিকার
- আগামী ৩ দিন কোথাও ঝড় কোথাও বৃষ্টি
- বৃষ্টিপাত কমছে, যেদিন থেকে ফের বাড়বে
- ড্রেজিংয়ে কোথাও নদী ভাঙন হয় না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- দুইদিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে’
- গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় প্রধানমন্ত্রীর
- রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার দোয়া
- ঈদের তৃতীয় দিন কোন সময় সময় পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে?
- এবার হিন্দিতে মুক্তি পাচ্ছে শাকিবের ‘তুফান’
- পাটগ্রামে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে মেরে ফেলা হলো দু`টি সাপ
- কাবার চাবি রাসূলুল্লাহ (সা.) যার হাতে তুলে দিয়েছিলেন
- উচুন্টি গাছে আছে যাদুকরী ঔষধিগুণ
- দেশে ফিরলেন ৫৯ হাজার ৩৩০ হাজি
- পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি
- বিশ্বের প্রথম এআই হাসপাতাল চালু
- রংপুরে কলেজ অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যার হুমকি জাপা’র আহবায়কের
- ব্রিজের নিচে ভাসছিল লাশ, উদ্ধারের পর যা জানা গেল
- বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
- কোপা আমেরিকা, কোয়ার্টারে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা
- দ্বিতীয় দিনেও সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে বেরোবি শিক্ষকরা
- জানা গেল কোরবানির অবিক্রিত পশুর সংখ্যা
- বাঁশঝাড়ে চিৎকার দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন যুবক