• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

লালমনিরহাটে জমি বিক্রিতে গিয়ে ভাতিজিকে নিয়ে উধাও চাচা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 
জামালপুরে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করতে গিয়ে ভাতিজিকে (২২) অপহরণ করে লালমনিরহাটে নিয়ে আসার অভিযোগ চাচা মানিক মিয়ার(৩৫) বিরুদ্ধে। শুক্রবার(২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে মেয়ে আর নাতিকে উদ্ধার করতে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতার মা গোলাপী বেগম।

অভিযুক্ত চাচা মানিক মিয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সদরের আদিতমারী উত্তরপাড়া এলাকার আবু সাঈদ ওরফে কালিয়ার ছেলে।

বাদী গোলাপী বেগম জামালপুরের নরনদী থানার আমতলা ভাসানি নগর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার স্ত্রী। অভিযোগে জানা গেছে, মানিক মিয়ার পৈত্রিক সুত্রে জমালপুরে পাওনা জমি দেখভাল করতেন তার ফুপাত ভাই আব্দুর  রশিদের স্ত্রী গোলাপী বেগম। সেই জমি বিক্রির কথা বলে ওই বাড়িতে বেড়াতে যান মানিক মিয়া। এ অজুহাতে ওই বাড়িতে প্রায় এক মাস অবস্থান করেন মানিক। এ সময়ে জমি ক্রয় বাবদ ৫লাখ টাকা প্রস্তুত করেন বিধবা গোলাপী বেগম। ২৪ সেপ্টেম্বর জমি রেজিস্ট্রির আগেই টাকা ৫লাখ এবং গোলাপী বেগমের মেয়ে রশিদা বেগম মিম ও তার একমাত্র ছেলে মাহিরকে(৪) নিয়ে চম্পট দেন মানিক মিয়া।

স্ত্রী সন্তানের কোনো সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় থানায় সাধারন ডায়েরি করেন অপহৃতার স্বামী জলিল মিয়া। এরপর তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মানিক মিয়ার বাড়িতে আসেন গোলাপী বেগম। সেখানে উপস্থিত হলে স্থানীয় কতিপয় দালাল মেয়ে নাতির সন্ধান পাইয়ে দিতে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কালক্ষেপন করেন। টানা ১০ দিন ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হকসহ দালালদের দ্বারে দ্বারে  নিষ্ফল ঘুরে নিরুপায় হয়ে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মানিক মিয়া ও তার পরিবারের ৪জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোলাপী বেগম।

বাদী গোলাপী বেগম বলেন, মানিকদের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি আমরা দেখভাল করে আসছি। সেই জমি বিক্রির জন্য আমাদের বাড়িতে গত এক মাস অবস্থান করেন মানিক। আমি টাকা ৫ লাখ জোগার করেছি তাকে দিয়ে জমিটা রেজিস্ট্রি করে নিব। এরই মাঝে মানিক টাকা ৫লাখসহ আমার মেয়ে ও নাতিকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। মেম্বারসহ লোকজন মেয়ে ও নাতিকে ফেরৎ দিতে চেয়েও দিচ্ছে না। শুধুই কালক্ষেপণ করছে। তারা আমার মেয়ে আর নাতিকে মেরে ফেলতে পারে তাই পুলিশের সহায়তা কামনা করেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হককে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –