• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

কালীগঞ্জের ঘোঙ্গাগাছ সীমান্তে ‘কান্নাকাটির মেলা’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩  

 
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউপির ঘোঙ্গাগাছ সীমান্তের ৯১৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে মালদহ নদীপাড়ে গত ৬০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মিলনমেলা। 
 
রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘোঙ্গাগাছ সীমান্তের ৯১৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে মালদহ নদীপাড়ে কয়েক হাজার বাংলাদেশি মিলনমেলার জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করেন। তবে অনুমতি না থাকায় দুই দেশের স্বজনদের দেখা মেলেনি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার ভেরভেরি এলাকায় কাটাতারের বেড়ার কাছে গঙ্গাপূজা হয়। পরে দর্শনার্থীরা মালদহ নদীতে পূণ্যস্নান করেন। এ পূজা উপলক্ষে মালদহ নদীপাড়ে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষ মিলিত হন।

দীর্ঘদিন পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আবেগতাড়িত হয়ে সকলে একে অপরকে জড়িয়ে কান্নাকাটি করেন বলে এ মেলাকে ‘কান্নাকাটির মেলা’ বলা হয়ে থাকে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী গ্রামের আশি বছরের সুরেন চন্দ্র বর্মণ সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতে থাকা তার দুই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসে মেয়েদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যান। দুই মেয়ে ভারতে থাকেন। তাদের সঙ্গে ১০ বছর দেখা হয় না। আজ তাদের সঙ্গে সীমান্তের মেলায় দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু মেলার অনুমতি না দেওয়ায় মেয়েদের সঙ্গে দেখা হয়নি।

স্থানীয় সুধীর চন্দ্র বর্মণ বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে গঙ্গাপূজার এই মিলন মেলা হয়ে আসছে।  

আদিতমারী উপজেলার বামনেরবাসা এলাকার যামিনীকান্ত রায় বলেন, তারকাঁটার বেড়া আমাদের আলাদা করেছে। কিন্তু আমাদের প্রীতিবন্ধনকে আলাদা করতে পারেনি। আমরা আগের বছরগুলোতে সীমান্তের মিলনমেলায় এসেছিলাম এবং ভারতের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। এ বছর সীমান্তে মিলনমেলা হলো না! আমাদের পাসপোর্ট-ভিসা করার সামর্থ্য থাকলে এভাবে সীমান্তে মিলনমেলার জন্য অপেক্ষা করতাম না।

গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলেন, এবছর সীমান্তে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় করেছিলেন। মেলার অনুমতি না দেওয়ায় দর্শনার্থীরা মন খারাপ করে বাড়িতে ফিরে গেছেন। মিলনমেলাটি ‘কান্নাকাটির মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এই সীমান্তের একটি ঐতিহ্য। 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –