• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারতে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না প্রধান আসামি বাবুর

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাবেক অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু ভারতে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পায়নি। পুলিশের চৌকসতায় ভারত থেকে কৌশলে ডেকে এনে বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসপি সাইফুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে পাটগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুর অবস্থান ভারতের কুচবিহারে জানা যায়। পরে পেইড সোর্স নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে আসামিকে ভারতের কুচবিহার থেকে বাংলাদেশের পাটগ্রামের দহগ্রাম এলাকায় ঢুকলে আসামিকে পাটগ্রাম থানা পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম গ্রেফতার করে।

জানা যায়, বাবু দীর্ঘ ৩ বছর যাবত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীর ওপর বিভিন্ন কারণে ক্ষিপ্ত ছিল। গত ২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীর পিছু নিয়ে তার বাসার সামনে পৌঁছলে ধারালো ছুরি দিয়ে প্রথমে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে বাবু। আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী রাস্তা সংলগ্ন তার নিজ বাড়ির ওয়ালের পাশের্ব পড়ে গেলে আসামির হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে এম ওয়াজেদ আলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুনরায় আঘাত করে এবং পরিশেষে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে। এ সময় ওয়াজেদ আলীর আত্মচিৎকারে লোকজন আসতে থাকলে আসামি ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই উপজেলার জগতবের সীমান্ত দিয়ে গরু পারাপারকারীর মাধ্যমে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের তৎপরতায় এবং পেইড সোর্সের মাধ্যমে মামলার মূল আসামি বাবু বাংলাদেশ সীমান্তের দহগ্রামে ফেরত আসলে কৌশলে ২৯ জানুয়ারি রাত ৮ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত বাবু পাটগ্রাম নিউ পূর্বপারা রসূলগঞ্জ এলাকার মো. আব্দুস সামাদ প্রধানের ছেলে। এর আগে মামলার প্রধান আসামি বাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এসপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বাবুকে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামি এই হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে পাটগ্রাম আমলী আদালত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল, পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মুত্তালিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –