• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

হাতীবান্ধায় ইউপি নির্বাচনে দুই প্রার্থীর এক প্রতীক!

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১  

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর একই প্রতীকের (মোরগ) পোস্টার ছাপানো হয়েছে। যার ফলে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা।

স্থানীয়রা বলছেন, পোস্টার লাগানোর পাঁচ দিন পার হলেও বিষয়টি প্রশাসনের কিংবা প্রার্থীদের নজরে আসেনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ওই দুই সদস্য প্রার্থী হলেন- উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান ও মোক্তারুজ্জামান তুহিন।

জানা গেছে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর হাতীবান্ধা উপজেলার ১২ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয় উপজেলা নির্বাচন কমিশন। এতে ‘মোরগ’ প্রতীক পান আক্তারুজ্জামান তুহিন। আর ‘টিউবওয়েল’ প্রতীক পান নুরুজ্জামান। এরপরও দুজনই মোরগ প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন। ঘটনার প্রায় পাঁচ দিন হয়ে গেলেও প্রার্থী কিংবা প্রশাসনের কেউ বিষয়টি লক্ষ্য করেনি। যার ফলে চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা।

ভোটাররা বলেন, দুই প্রার্থীর একই প্রতীক দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। এ নিয়ে সবাই চিন্তিত। বিষয়টি তাদের বলা হলেও গুরুত্ব না দিয়ে ফোন কেটে দিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে ফেসবুকে লেখালেখি হলে তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।

৬ নং ওয়ার্ডের ভোটার আশরাফুল আলম বলেন, দুই প্রার্থীর মোরগ প্রতীকের পোস্টার লাগানো হয়েছে, প্রচারও চলছিল। পরে বিষয়টি তাদের জানানো হয়।

ইউপি সদস্য প্রার্থী মোক্তারুজ্জামান তুহিন বলেন, আমি মোরগ প্রতীক পেয়েছি। তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। কিন্তু নুরুজ্জামান কী কারণে মোরগ প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তাই বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

অপর সদস্য প্রার্থী নুরুজ্জামান বলেন, আমি টিউবওয়েল প্রতীক পেয়েছি। ভুলবশত মোরগ প্রতীকের পোস্টার ছাপানো হয়েছে। পরবর্তীতে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু অপর প্রার্থী আমাকে দোষ দিচ্ছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। এরপরই একজন প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে সেটির তদন্ত শুরু করেছি। তবে তাদের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, ভুলবশত একই প্রতীক ব্যবহার করেছেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –