• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

লালমনিরহাটে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের, স্থিতিশীল পেঁয়াজ-রসুন 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২১  

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই লালমনিরহাটের কাঁচাবাজার গুলোতে হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। তবে পেঁয়াজ-রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। বুধবার লালমনিরহাটের পাইকারী ও খুঁচরা বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।

জানা গেছে, লালমনিরহাটের বিভিন্ন কাঁচাবাজারের পাইকারে আঁড়তের তুলনায় খুঁচরা দোকানে কোনো পণ্যের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রয় করা হচ্ছে। পাইকারী বড় আলু পাইকারী ১৭ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আলু পাইকারী ২৫ টাকা, খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে পটল ৪০টাকা, ঝিঁঙা ৪০টাকা, ঢেঁড়শ ৩০টাকা, রসুন ৮০-১২০টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫০টাকা, এলসি ৪০টাকা, কাঁচা কলা ২৫-৩০টাকা হালি, দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে যেখানে কয়েকদিন আগেও কাঁচা মরিচ ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। সে পণ্যটি এখন বর্ষা মৌসুমের অজুহাতে ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দ্বিগুনের চেয়েও দাম বেড়েছে।

লালমনিরহাটের সেনা মৈত্রী কাঁচাবাজার মার্কেটের ভাই ভাই কাঁচামাল স্টোরের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা যখন যে দামে পাইকারী পাই। এর থেকে কেজিতে পাঁচ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে দেই। অনেক সময় কাঁচামাল ওজনে ঘাটতি হয় ও পঁচে যায়। এছাড়া ক্রেতারা আগেভাগে বেছে বেছে ভালোটা নিয়ে নেন। এজন্য শেষের দিকে কিছু খারাপ বের হয়। তখন কম দামে সেগুলো বিক্রি করতে হয়। এজন্য দাম কয়েক টাকা বেশি নিতে হয় গ্রাহকের নিকট থেকে। এটা না করলে আমাদের অনেক লোকসান হবে। 

এদিকে পাটগ্রাম উপজেলার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী মো. রুস্তম আলী বলেন, কাঁচাবাজারের নিত্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি। তবে কাঁচা মরিচের দাম এক সপ্তাহ আগেও ৩০ টাকা কেজি ছিল। এখন দাম বেড়ে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কাঁচা পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেন। 

তিনি আরও জানান, পটল ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, দুধকুশি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।     

লালমনিরহাট গোসালা কাঁচাবাজারের পাইকারী আঁড়ত ব্যবসায়ী মেসার্স সুমাইয়া ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মো. আলম হোসেন বলেন, করোনায় এখন পর্যন্ত কাঁচাবাজারের পণ্য আদান-প্রদানে কোন প্রভাব পরেনি পাইকারী কিংবা খুঁচরা ক্রয়-বিক্রয়ে। তাই পেঁয়াজ, রসুন, আলু, পটল, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য তরিতরকারিতে। তবে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ ৬৫-৭০টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়া মোটামুটি অন্যান্য কাঁচা তরিতরকারির দাম স্বাভাবিক বা স্থিতিশীল রয়েছে। 

তিনি অপর এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, এ বছর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ-উল-আযহা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই পেঁয়াজ-রসুনের দাম বৃদ্ধির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তবে কেউ যাতে সিন্ডিকেট করে কাঁচা তরিতরকারি ও পেঁয়াজ-রসুনের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে। এজন্য সরকারকে চোখ  রাখতে হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –