• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

লালমনিরহাটে বাহারি নামে খোলা বাজারে মেলে যৌন উত্তেজক

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২১  

লালমনিরহাট জেলা যৌন-উত্তেজক ও ভেজাল ওষুধে সয়লাব হয়ে পড়েছে। এ জেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে অবৈধ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ এসব ওষুধ। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে দেদারসে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এসব ওষুধ কেনা-বেচা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ফার্মেসি আছে। এর মধ্যে ড্রাগ লাইসেন্স আছে মাত্র ১১০০টির। বাকি ফার্মেসিগুলো কোনো ধরনের বৈধতার কাগজপত্র ছাড়াই কমিশনের ভিত্তিতে এসব যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ওষুধ বিক্রি করে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শুধু ফার্মেসিই নয়- ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ওয়ান ফ্রুট সিরাপ, জিনসা, টাচ ফ্রুট সিরাপ, ভিগোসা ইত্যাদি বাহারি নাম ও চোখ ধাঁধানো লেবেল লাগিয়ে সাধারণ মুদি-মনিহারি দোকানেও বিক্রি হয় নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধ। উঠতি তরুণ, রিকশা-ভ্যানচালক, অসচেতন মানুষও তুলনামূলক কম দামে হাতের নাগালে পেয়ে এসব ওষুধ কিনে সেবন করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক জানান, অনুমোদনবিহীন এসব ঔষধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এ ওষুধের প্রভাবে শরীরে নানা জটিল রোগ দেখা দেয়।

অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে, জেলা শহরের তালুক খুটামারা, বত্রিশ হাজারির ঈদগাহ মাঠ এলাকার বাবু, শহিদ শাহজাহান কলোনির বাদল ও রেলবাজার এলাকার শাহ আলম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুরো জেলায় এসব ভেজাল ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সরবরাহ করে। অনেক বিক্রেতা আবার পরিচিত লোক ছাড়া এসব ওষুধ বিক্রি করেন না।

ক্রেতা সেজে শহিদ শাহজাহান কলোনির বাদলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার কাছে ওয়ান ফ্রুট সিরাপ ও টাচ ফ্রুট সিরাপ আছে। আপনি চাইলে আপনার কাছে পৌঁছে দিতে পারি।

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের জেলা কার্যালয় ঠিকমতো বাজার তদারকি করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। জেলা ড্রাগ সুপার তো ঠিকমতো অফিসই করেন না। তিনি উদাসীন না হলে ভেজাল ওষুদ এভাবে ছড়িয়ে পড়ত না।

এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের লালমনিরহাট কার্যালয়ের সুপার হাফিজুর রহমানকে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত নম্বর চাইলে উল্টো অফিস সহায়ক এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

পরবর্তী আবার যোগাযোগ করলে হাফিজুর রহমান বলেন, আমার অফিস সহায়কের দুর্ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত। দুই মাস আগে এ জেলায় যোগদান করেছি। সপ্তাহে চারদিন কাজ করার সুযোগ পাই। এখন পর্যন্ত ঠিকমতো মনিটরিং করতে পারিনি। তবে সবার সহযোগিতায় জেলার বাজার থেকে ভেজাল ওষুধ তুলে দেব। এছাড়া ভেজাল ওষুধের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –