• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দুই হাত জমির জন্য অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথী, মারা গেল প্রথম সন্তান

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১  

মাত্র দুই হাত জমির জন্য ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিজের ভাগনি আদুরীর পেটে লাথী মেরে পেটের সন্তান হত্যা করল তারই নিজ মামা জামাল ও হোসেন আলী। লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের ঠিকানার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আদুরী খাতুন ঠিকানা বাজারের বাবুল মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় আদুরীর ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর চাংরা আবাসন এলাকার ঠিকানার বাজারে আপন বোনের সঙ্গে মাত্র দুই হাত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল তারই আপন ভাই জামাল ও হোসেন আলীর। এরই জেরে গত ১৮ মে নিজ বাড়ির সামনে খড়ের একটি পুঞ্জ (ঢিপি) দিতে গেলে জামাল ও হোসেন আলী তাতে বাধা দেয়। পরে আদুরীর বাবা বাবুল মিয়া এর প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার দুই ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা আদুরী বাবা ও ভাইকে বাঁচাতে গেলে এ তার আপন মামা তার পেটে লাথি মারলে সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এরপরও ক্ষান্ত হয়নি পাষাণ মামারা অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ আদুরীকে তারা যেন হাসপাতালে নিতে না পারে সেজন্য বাড়ির চারপাশে দেয়া হয় বাঁশের বেড়া। এলাকাবাসী যাতে তাদের সহযোগিতা করতে না পারে সেজন্য দেয়া হয় অস্ত্রের মহড়া।

পরের দিন রাতে আদুরীর অবস্থার অবনতি হলে ঘরের বেড়া কেটে বাড়ির পেছন দিয়ে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই আদুরী একটি মৃত সন্তান প্রসব করে।

আদুরী বলেন, আমি ও আমার স্বামী বাবার বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে এসে আমার এ অবস্থা হলো। আমার ভাই ও বাবাকে মামারা যখন মারছিল তখন আমার মা ও আমি বাবাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যাই। আমরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার পরিবারের সবাইকেসহ তারা আমাকেও বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় জামাল মামা আমার পেটে  লাথি মারে।

আদুরী আরো বলেন, আমার পেটের সন্তানকে হত্যা করায় আমার স্বামীর বাড়ির লোকজনও আমাকে আর নিতে চাচ্ছে না। এটি আমার আমার প্রথম সন্তান ছিল। আমি এখন কি করব? আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।

এলাকাবাসী জানান, জামাল ও হোসেন এলাকায় প্রভাবশালী হওয়া বর্তমানে নির্যাতিত ওই পরিবারটি নিরাপত্তাহীতায় ভুগছে। অথচ মামলা হওয়ার বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামি ধরছে না পুলিশ।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম বলেন, তিন আসামির মধ্যে দুইজন জামিন নিয়েছেন। অপর আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –