• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আদিতমারীতে প্রথম মৃত্যু 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১  

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নাজির হোসেন ওরফে নয়া মিয়ার (৭৮) মৃত শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয়। একই দিনে আদিতমারী উপজেলায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট শনাক্ত হয়েছে। মৃত নয়া মিয়া
সহ জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হলো করোনা ভাইরাসে।

গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মৃত নাজির হোসেন ওরফে নয়া মিয়ার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায়।

মৃত্যুর পর নাজির হোসেন ওরফে নয়া মিয়ার মৃত শরীর থেকে গত ১৮ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্টের জন্য পাঠায় জেলার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ১৯ এপ্রিল লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস রাতে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে নিশ্চিত করে।

নয়া মিয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার আদিতমারী স্টেশন রোডস্থ গ্রামীণ ব্যাংক মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক(অবসর প্রাপ্ত) ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল রবিবার তিনি মারা যান।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ৫হাজার ৬শত ৬১ জন ব্যক্তির শরীর থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। তারমধ্যে ৫হাজার ৬৪৬ জনের রিপোর্টে ১ হাজার ২৭ জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট শনাক্ত হলেও ৯৭৬ জন সুস্থ হয়ে নিজ বাড়ী ফিরেছেন। অবশিষ্ট ৫১ জনের মধ্যে ৩৪ জন নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে,৪জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ জুন করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ চলাকালীন সময়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কেরামত আলী নামে এক ব্যক্তি প্রথম মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সারাদেশে লকডাউন দেয়া সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত। এই লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। তা নাহলে প্রতি জেলায়-উপজেলায় মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে যাবে। 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –