• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

শীতেও লাবণ্যময়ী থাকুন   

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২১  

শীত এলেই ত্বক হয় রুক্ষ, চুল হয় শুষ্ক। এর প্রধান কারণ তাপমাত্রা কমে যাওয়া। অনেকেই মনে করেন দেড় থেকে দুই মাসের শীতে কী এমন ক্ষতি হবে। অল্পবিস্তর যদি হয়ও, শীত গেলে ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে অবহেলায় ত্বক হারায় তার স্বাভাবিক সতেজতা-ঔজ্জ্বল্য। 

একবার ত্বকের ক্ষতি হলে, সেই ক্ষতিপূরণ না করলে, তা চিরস্থায়ী ক্ষতিতে পরিণত হতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না, আপনার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বয়সও কিন্তু প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং ক্ষমতা কমছে। তাই সময়মতো যত্ন না নিলে, পরে তা সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন। 
শীতকালে ত্বক ও চুলের যাবতীয় সমস্যার উৎস অপর্যাপ্ত আর্দ্রতা। আর আর্দ্রতা ধরে রাখতে জরুরি হিউমেকট্যান্ট। ময়েশ্চারাইজার, সিরাম বাইরে থেকে ত্বক ও চুলে যাই ব্যবহার করুন না কেন, ত্বক ভালো না হলে সেই আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব নয়। 

আবার আর্দ্রতার অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়লে প্রয়োজন এক্সফোলিয়েশন। মৃত কোষের আস্তরণ সরিয়ে ভেতরের নরম, সজীব ত্বককে বের করে আনতে এক্সফোলিয়েশন ভীষণ কার্যকর। শীতে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং রুক্ষ চুলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ময়েশ্চার ও এক্সফোলিয়েশনের প্রতি গুরুত্ব দিন। বাজারের কৃত্রিম প্রসাধনীর বদলে প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ রূপ রুটিনে নিজেকে অভ্যস্ত করুন। এতে উপকার যেমন পাবেন তেমনি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও আশঙ্কা থাকবে না। 

কোন কোন উপাদান ব্যবহার করবেন
আর্দ্রতা বজায় রাখতে উপযোগী এমন প্রাকৃতিক উপাদানের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে সব তো আর ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আর্দ্রতা এবং এক্সফোলিয়েশন-এই দুইটিকে প্রাধান্য দিয়ে পাঁচটি উপকরণ রূপ রুটিনে রাখার চেষ্টা করুন। 

দুধ: পানির পরিবর্তে সপ্তাহে একদিন দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। দুধের পিএইচ মোটামুটি আমাদের ত্বকের সমান। ফলে সোপ-বেসড ফেসওয়াশের চেয়ে নিঃসন্দেহে উপকারী। 
ওটমিল: এক্সফলিয়েটর হিসেবে ওটমিলের জুড়ি নেই। ফাটা ঠোঁট থেকে খসখসে গোড়ালি, ত্বকের মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন ওটমিল।

অ্যালোভেরা: ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সত্যি কোন জুড়ি নেই। পাশাপাশি ত্বক ভিটামিনের পুষ্টিও পায়। রুক্ষ চুল নরম রাখতেও অ্যালোভেরা জেল অতুলনীয়।

নারকেল তেল: শুধু ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার শীতকালে যথেষ্ট নয়। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বাইরে থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষার প্রয়োজন। যা ত্বক থেকে আর্দ্রতা বেরিয়ে যেতে বাধা দেবে। এক্ষেত্রে নারকেল তেল দারুণ উপযোগী। চুল চকচকে ও নরম রাখতে নারকেলের উপকারিতা অনেক। কোনো ময়েশ্চারাইজারের ওপর যদি হালকা তেল ব্যবহার করা যায়, তাহলে ত্বক দীর্ঘক্ষণ আর্দ্র ও নরম থাকে। 

গ্লিসারিন: খসখসে কনুই, গোড়ালি, হাঁটু, পায়ের পাতা অর্থাৎ শরীরের অপেক্ষাকৃত পুরু অংশ ময়েশ্চারাইজ করার জন্য শুধু নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল যথেষ্ট নয়। এই অংশগুলোর জন্য প্রয়োজন গ্লিসারিন। শীতে ত্বকে বাড়তি যত্ন নিতে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। 

সপ্তাহে একদিন রেডিমেড ক্রিম, সিরাম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এই উপকরণগুলো ব্যবহার করুন। বাকি দিনগুলো স্বাভাবিক রুটিন মেনে চলুন। মাসখানেক পর ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্য দেখে নিজেরই তাক লেগে যাবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –