• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বিনা টাকায় জাপান-কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে: জহিরুল ইসলাম

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৩  

বিদেশে কর্মসংস্থান, উচ্চতর ডিগ্রিসহ নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নতুন বিদেশি ভাষা শেখায় গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকেই। কর্মসংস্থানে সুযোগের জন্য অনেক এগিয়ে চীনা, কোরিয়ান ও জাপানি ভাষা। আর এসব ভাষা প্রশিক্ষণ নিয়ে কথা বলেছেন ভাষা প্রশিক্ষক জহিরুল ইসলাম। 
 
প্রতিবেদক: কেন ভাষা প্রশিক্ষণে ক্যারিয়ার গড়লেন?

জহিরুল ইসলাম: আমার পড়ালেখা বিজ্ঞান বিভাগে, স্নাতক করেছি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। ইচ্ছে ছিল, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাব। কিন্তু, ঘটনাক্রমে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের পরিবর্তে জাপানিজ, কোরিয়ান ভাষা ল্যাঙ্গুয়েজে ক্যারিয়ার হয়ে গেছে।

স্নাতক করা অবস্থায় কোরিয়ান ভাষা শেখা শুরু করেছিলাম, পরবর্তীতে জাপানিজ ভাষা শিখেছি। একটা সময়ে গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে ভালোলাগা থেকেই এই পেশা থেকে আর বের হতে পারেনি। 

২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের বোয়েসেলের মাধ্যমে জাপান যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় বাংলাদেশে থেকে বিনা টাকায় জাপান গিয়েছিলাম। কিন্তু ভাষা প্রশিক্ষণ এর প্রতি বিশেষ টান থাকার কারণে দেশে চলে এসেছি এবং প্রশিক্ষণের ধারা এখনো অব্যাহত রেখেছি। 

প্রতিবেদক: কোন কোন দেশের ভাষা শিখিয়ে থাকেন?

জহিরুল ইসলাম: মূলত বাংলাদেশে জাপানিজ, কোরিয়ান এবং চাইনিজ ভাষা শেখার শিক্ষার্থী বেশি। দক্ষিণ কোরিয়াতে বাংলাদেশ সরকারের বোয়েসেল এবং কোরিয়ান সরকারের এইচ আরডি কোরিয়ার মাধ্যমে ইপিএস এর অধীনে সরকারিভাবে বিনা টাকায় কোরিয়া যাওয়া যায়। তাই কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার্থী বেশি হয়ে থাকে। 

তাছাড়াও জাপানে সরকারিভাবে যাওয়ার পাশাপাশি স্টুডেন্ট ভিসায় প্রচুর শিক্ষার্থী জাপান গিয়ে থাকে। তাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান এবং জাপানিজ ভাষা শিক্ষার্থীরা বেশি আসে। এছাড়াও চায়নায় বসবাস করে কিংবা চায়নার সঙ্গে ব্যবসা করে, এমন প্রয়োজনে অনেকে চাইনিজ ভাষা শিখে থাকেন। মোটের ওপর এ দেশে ইতালিয়ান, জার্মান, ডাচসহ ২১টি ভাষা শিখানো হয়। 

প্রতিবেদক: কোন কোন দেশে সরকারিভাবে যাওয়া যায়?

জহিরুল ইসলাম: বর্তমানে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ অনেক দেশেই যাওয়া যায়। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বোয়েসেলের মাধ্যমে প্রতিবছর বিজ্ঞাপন হয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপনে আবেদন করলে বিনা টাকায় দালাল-মাধ্যম ছাড়া ইপিএসর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। যেখানে প্রতি মাসে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা যায়।

জাপানের আইএম জাপান নামক একটি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকারের বিএমইটির মাধ্যমে বিনা টাকায় জাপান যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

প্রতিবেদক: ভাষা শিক্ষা অগ্রসরের সরকারের আরো কি অবদান রাখা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

জহিরুল ইসলাম: ইংরেজি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণ সরকার বিশেষভাবে অবদান রাখছে। বলতে গেলে, সরকার বিনা টাকায় বিভিন্ন টিটিসিতে ভাষা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার যদি প্রতিটি স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিদেশি ভাষার কোর্স চালু করে তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে বলে মনে করি। কারণ, অন্যান্য কিছু দেশে-বিদেশি ভাষা শিক্ষার জন্য এ পদ্ধতি চালু রয়েছে। এতে ঐ সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার বিশেষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –