শীতের আগমনে সুস্থতা ও চনমনে
শীতের আগমনে সুস্থতা ও চনমনে
ঋতু বদলের পালায় আসি আসি করছে শীতকাল। ইতিমধ্যেই প্রকৃতিতে হিম বাতাস বইতে শুরু করেছে। শীতের আগমনী বার্তায় প্রকৃতির রুপ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়তে থাকে মানুষের শরীর ও মনে।
এসময় হঠাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাড়া খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ঠাণ্ডা জনিত যে কোন অসুখে। শীতকালে সাধারণত সর্দি, কাশি, মাথাব্যাথা, জ্বর, গা ব্যাথা, অ্যাজমাসহ নানা রকম বায়ুবাহিত রোগ আক্রান্ত করে। আর কথায়ই আছে শরীর ভালো তো মন ভালো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাই কোনো কাজও ঠিক মত করা যায় না।
আর যেহেতু শীত মৌসুমে যে কোন মানুষ ভ্রমনে যেতে পছন্দ করেন । বিশেষ করে শীতের ছুটিতে ঘুরার জন্য যেন অপেক্ষাতেই থাকেন । তবে ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে শীতে শুষ্কতা ও রুক্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে রোগ-ব্যাধির প্রবণতাও বাড়তে থাকে। তাই আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি অবশ্যই এই সময় স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুব বেশি প্রয়োজন।
শীত আসার শুরুতেই যদি নিত্যদিনের জীবনধারায় কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেয়া যায় তাহলে ফুরফুরে মেজাজে হিমেল পরশকে সুস্থতার সঙ্গে উপভোগ করা সম্ভব। তবে শরীর নামের যন্ত্রটা যাতে ঠিকঠাক মতন চলতে থাকে সেই নিশ্চয়তাটুকু করে নিতে হবে নিজেরই।
শীতকালে সুস্থ থাকতে কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীপণ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রত্যেক বয়সের মানুষকেই শীতকালের উপযোগী করে রাখতে খানিকটা বাড়তি খেয়াল রাখার প্রয়োজন আছে। শীতকালে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বা ফ্লু একটি সাধারণ রোগ। প্রায় ২০০ এর বেশি ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে এই ফ্লু।এটি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তার জন্য যা করতে হবে:
হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় নাকে মুখে টিস্যু পেপার বা রুমাল চেপে ধরুন।হাঁচি বা সর্দি কাশির পর হাত ভালোভাবে সাবান অথবা পানি দিয়ে ধৌত করুন।হাতের কাছে পানি বা হ্যান্ডওয়াশ না থাকলে অ্যালকোহল ভিত্তিক ট্রাভেল হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। ঠাণ্ডা বা ফ্লু জনিত রোগে আক্রান্ত এমন লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন। বাড়ির বাইরে বেরোনো একটু কমিয়ে দিন। মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, পেশী ব্যথা ও জ্বর কমাতে সাহায্য করে প্যারাসিটামল। প্রয়োজনে প্যারাসিটামল খেয়ে নিন।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। প্যারাসিটামল গ্রহণ এর আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
শীতকালে উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য খাওয়া উচিত।এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন-প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার।ভিটামিন বি, সি, ডি ও ই জাতীয় উচ্চ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার।শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাবেন। টাটকা ফল ও সবজিতে আছে বায়োটিন যা ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপি, মটরশুটি, বাঁধাকপি, শিম ও গাজর বেশি করে খাবেন।লেবু জাতীয় ফল যেমন- মালটা, কমলা, বাতাবি লেবু বেশি করে খাবেন ।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি’ থাকে। ভিটামিন সি টক ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শীতের দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কারণ শীতে শরীর শুষ্ক হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে পানি পান করে হাইড্রেট রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।যাদের ঠাণ্ডা পানিতে এলার্জি সমস্যা থাকে তারা গরম পানি পান করুন।
শীতকালে কর্ম উদ্দীপনা কম থাকে, শরীর অসার বোধ হয়, মনে হয় সকাল টা বিছানায় ঘুমিয়ে পার করে দেই। কিন্তু এরকম বদ অভ্যাস অবশ্যই বর্জনীয়। নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন, পরিশ্রম করুন, শরীর থেকে ঘাম ঝরান। এতে শরীর সুস্থ ও তরতাজা মনে হবে। বাঙালি জাতি আসলেই ভাগ্যবান কারণ শীতকালে যেমন আবহাওয়া অনেক শীতল থাকে তেমনি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ও আমরা উপভোগ করি।তাই প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা যেতেই পারে এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন। শীতকালে গরম কাপড় পরিধান করুন। সম্ভব হলে প্রতিবার হালকা কুসুম গরম পানি পান করুন। সকালের নাস্তা ও দুপুরের নাস্তার পর গরম স্যুপ, ফলের রস ও ডাবের পানি খেতে পারেন। চা-কফি বাদ যাবে কেন? এতে শরীর পানিশূণ্যতার অভাব পূরণ করে, পাশাপাশি শরীর উষ্ণ থাকে।
শীতে হজম শক্তি কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে বদ হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম জরুরি।
- খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির ঘটনা নিয়ে যা জানালো আইএসপিআর
- এস আলমের সম্পদের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা
- ৪ জেল সুপার বাধ্যতামূলক অবসরে
- মেয়াদপূর্তির পরও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ৩ হাজার বিমা গ্রাহকবিনোদন
- ১৩ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন প্রধান শিক্ষক
- দুইজন একসঙ্গে সালাম দিলে কে উত্তর দেবেন?
- বরিশালের গ্যাংস্টারের গল্প, নায়িকা পিরোজপুরের পরীমনি
- এক বছরের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
- হেডের অপরাজিত শতকে অজিদের অনায়াস জয়
- যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
- অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার
- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেফতার
- মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
- ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
- সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্ব বন্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ
- আরও তিনদিন ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে
- চলতি অর্থবছরেই ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: মার্টিন রেইজার
- সব সংকট কাটিয়ে ফের চালু কর্ণফুলী পেপার মিল
- হজরত আদম (আ.) এর দোয়া
- প্রতিরোধের চেষ্টায় জয়সওয়াল-পান্ট জুটি
- শাহ আমানতে আড়াই কোটি বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
- নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক হচ্ছে নাঃ হিন্দুস্তান টাইমস
- ‘শুধু বলতে চাই, যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে’
- লেবাননে হামলার বিষয় আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরায়েল
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান আলী রীয়াজ
- এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি
- পিআইবির ডিজি হলেন ফারুক ওয়াসিফ
- এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
- প্রাথমিকভাবে শহিদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা, আহত ব্যক্তি ১ লাখ
- ফেনী-কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা নেই
- তিস্তা নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- নিবন্ধন পেল এবি পার্টি
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন
- মাসুদের বিদায় পর জীবন পেলেন বাবর
- ২৪ ঘণ্টায় একে একে মারা গেল চার নবজাতক
- ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাখপতি রুবেল
- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীসহ ৪ এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- ঢাকা-রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে সরানো হলো
- সাজঘরে তিন পাকিস্তানি ব্যাটার, বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা
- নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক
- উয়েফার কাছ থেকে বিশেষ পুরষ্কার পাচ্ছেন রোনালদো
- দুপুরের মধ্যে ১৫ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
- পাকিস্তানকে চাপে রেখে প্রথমদিন শেষ করল বাংলাদেশ
- পাকিস্তানে দস্যুদের হামলায় ১২ পুলিশ সদস্য নিহত
- ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে অবনতি
- যাত্রাবিরতির দাবিতে ৫ ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখলেন শিক্ষার্থীরা