• বুধবার   ২২ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৭ ১৪২৯

  • || ২৭ শা'বান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
সরকারের পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শিশুর শারীরিক, মানসিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই- রাষ্ট্রপতি বেরোবিতে সেশনজট নিরসনে স্বস্তি মিলেছে শিক্ষার্থীদের ফাঁকা বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালালেন চাচা গাইবান্ধায় ভুট্টাক্ষেতে মিলল যুবকের লাশ

ফুড পয়জনিং কী?

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 
বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, যেকোন সময় সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষত, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের আশঙ্কা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ডায়ারিয়া থেকে শুরু করে পেটে ব্যথা, বমি, বমি বমি ভাব, আমাশা সবই হওয়া সম্ভব। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে রোগীর জ্বরও থাকে। এই ধরনের লক্ষণ দেখলেই সোজা চিকিৎসকের কাছে আসার চেষ্টা করুন। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন ততই ভালো। আর নিজের বুদ্ধিতে দোকান থেকে বা বলে ওষুধ খাবেন না।

সমস্যাই সমস্যা…
শুধু যে ফুড পয়জনিং হতে পারে, এমন নয়। এর থেকে অন্যান্য নানা সমস্যা হয়। আসলে বাইরের খাবার খোলা থাকতে পারে। এমনকী সেই খাবারে থাকে মাত্রারিক্ত তেল, নুন। এছাড়া এমন কিছু উপাদান মেশানো হয় যা শরীর গ্রহণ করতে চায় না। তাই হতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। সুস্থ মানুষও এই অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। আর আগে থেকে গ্যাস, অ্যাসিডিটি রইলে তো কোনও কথাই নেই। জটিলতার শেষ থাকে না।

মুশকিল আসান
ফুড পয়জনিং হলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু ব্যবস্থা নিন। চেষ্টা করুন ওআরএস খাওয়ার। এক বোতল জলে একটা ওআরএস মিশিয়ে নিন। এই পানীয় কিন্তু শরীরকে সুস্থ করে তুলতে পারে। সারাদিন অল্প অল্প করে খান। পান করতে পারেন ডাবের জল। এই পানিও ভালো। এছাড়া গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা হলে প্যান্ট্রোপ্রাজল ধরনের ওষুধ খাওয়া যায়। বমি শুরু হলে ডমপেরিডন দেওয়া হয়। তবে আবারো বলব চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়।

খাবার নিয়ে সাবধান!
বাইরের সব খাবার খাওয়া যাবে না। বরং প্যাকটবন্দি বিস্কুট খান। এমনকি চিঁড়ে খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। বিশেষত, বয়স্ক মানুষ ও ছোটরা এই দুটি পরামর্শ মেনে চলুন। আশা করছি ভালো থাকবেন। সব ধরনের সংক্রমণ এড়িয়ে যাওয়া যাবে। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আগেভাবে সাবধান হন। এছাড়া চাইলে আপনি বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। তেল, নুন, মশলা কম থাকুক রান্নায়।

বিশুদ্ধ জলপান
বাইরে যেমন-তেমন পানিপান করা যাবে না। বরং বিশুদ্ধ পানিপান করুন। চেষ্টা করুন বোতলবন্দি বিশুদ্ধ পানি কিনে খাওয়ার। এছাড়া বাড়ি থেকেও নিজে বোতলে করে পানি নিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখবেন, শীতেও সারাদিনে দুই থেকে তিন লিটার পানিপান দরকার। তবেই ভালো থাকবেন। এছাড়া বাড়বে জটিলতা।

সূত্র: এই সময়

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –