• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সাময়িকভাবে বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩  

    
সাময়িকভাবে বন্ধ হলো পটুয়াখালীর ১,৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে খুব দ্রুত ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় পায়রা বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম।

ডলার-সংকটে বিল বকেয়া থাকায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। নতুন করে কয়লা এলে চলতি জুন মাসের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ-কেন্দ্রটি আবার উৎপাদনে ফিরতে পারে।

বিসিপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, বকেয়ার ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এতে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখে কয়লা সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। যত দ্রুত কয়লা আনা যায়, তার চেষ্টা চলছে। 

এর আগে রোববার (৪ জুন) রাতে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ শুরু হবে। তবে কয়লা আসতে অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা এলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও উৎপাদন শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মোট চাহিদার ৯ ভাগ বিদ্যুৎ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ হচ্ছিল। অর্থাৎ এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাওয়ার পর, সেখান থেকে বরিশাল, খুলনা বিভাগ ছাড়াও ঢাকার কিছু এলাকায়ও সরবরাহ করা হতো। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হলে বিদ্যুৎখাতে এর নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই পড়বে।

এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্তমান পাওনা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। ডলার সংকট থাকায় এলসি খোলা যাচ্ছিল না। আর এ কারণে কয়লা আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। কয়লার অভাবে তাই বন্ধ হতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –