• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সোমবারের আগে থামছে না বৃষ্টি

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২  

সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। দেশের ১০টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বিপত্সীমার কাছাকাছি বা ওপরে থাকতে পারে। 

গতকাল শুক্রবার বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।

সারা দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা আগামী সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।   

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ প্রবল বিজলি চমকানো এবং  হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি  হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এ ছাড়া সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাত কমতে পারে। ’

এদিকে বৃষ্টিপাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও কমেছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনা ও সীতাকুণ্ডে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে, ২৬১ মিলিমিটার।

বন্যা পরিস্থিতি : ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ার কারণে এরই মধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেট ও রংপুর অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।

গতকাল সন্ধ্যায় বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী প্রীতম কুমার সরকার বলেন, ‘আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থাকবে। এ সময়ে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সোমবারের পর বৃষ্টিপাত কমে গেলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ’

গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হাতিয়া পয়েন্টে বিপত্সীমার ৬০ এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৯ এবং তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১০৮, সিলেট পয়েন্টে ৭০ এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপত্সীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে ২৩, পুরাতন সুরমা নদীর পানি দেরাই পয়েন্টে বিপত্সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লরেরগড়ে বিপত্সীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যাদুকাটা নদীর পানি। সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৫৬ এবং ভুগাই নদী নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপত্সীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে গতকাল সকাল থেকে সারা দেশে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরেছে। রাজধানীতে গতকাল দুপুরে হঠাৎ নেমে আসে অন্ধকার। গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। দিনভর বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক অলিগলি ও সড়কে পানি জমে যায়। এতে পথচারীরা দুর্ভোগে পড়ে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –